ভারতের শহরগুলোর বায়ুদূষণ সমস্যা তৈরি করছে ইংল্যান্ড দলের? জো রুট তেমনটিই বলেছেন। মুম্বাইয়ের প্রচণ্ড গরম আর শহরটির বায়ুদূষণের কারণে নাকি তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ অক্টোবর যাচ্ছেতাইভাবে হেরেছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের ৫০ ওভারের ইতিহাসেই সবচেয়ে বাজে হার ছিল সেটি ইংল্যান্ডের। টানা তিন ম্যাচ হেরে এ মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার নবম স্থানে আছে ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে উঠতে হলে এখন পাহাড় ডিঙানোর কাজ করতে হবে জস বাটলার-জো রুট-বেন স্টোকসদের।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বড় হারে মুম্বাইয়ের আবহাওয়াও বড় প্রতিপক্ষ ছিল ইংলিশদের। জো রুট নাকি এমন গরম কিংবা এমন কন্ডিশনে আর কখনোই খেলেননি, ‘আমি এমন অবস্থায় কখনোই ম্যাচ খেলিনি। গরমের মধ্যে অবশ্যই খেলেছি, অনেক আর্দ্রতার মধ্যেও খেলেছি। কিন্তু এমন অবস্থায় পড়িনি। মুম্বাইয়ের মাঠে নিশ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল মাঠে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাবি খাচ্ছি। অদ্ভুত একটা অবস্থা।’
রুট সে ম্যাচে ঝড় তোলা হেনরিক ক্লাসেনের উদাহরণও দিয়েছেন। ঝোড়ো এক শতকের পর ক্লাসেন ইংল্যান্ডের ইনিংসে ফিল্ডিং করতে মাঠেই নামতে পারেননি, ‘ক্লাসেনকে দেখুন। ওই ইনিংসটা তার ভেতর থেকে সবকিছু নিংড়ে নিয়ে গিয়েছে। সে ফিল্ডিংয়ের সময় মাঠেই নামতে পারেনি।’
রুট অবশ্য জানেন, এ থেকে নিস্তারের কোনো উপায়ই নেই। মুম্বাইয়ে একটা সেমিফাইনালও আছে, ‘এটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় নেই। যে মাঠে নামার সময়ই আপনার জার্সি ঘামে ভিজে যাবে, যে মাঠে আপনার নিশ্বাসে সমস্যা হবে, অথচ আপনার ফিটনেসে কিন্তু সমস্যা নেই। সুতরাং এটা মেনে নিয়েই খেলতে হবে।’
সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে গেলে এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচই বাঁচা-মরার ইংল্যান্ডের জন্য। আগামীকাল বেঙ্গালুরুতে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।