প্রথম ইনিংসে ১২৬ আর দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৫১—দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়া মুশফিকুর রহিমই হয়েছেন ম্যাচসেরা। তবে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের মতে মিরপুর টেস্টে ‘অবিশ্বাস্য’ কাজটি করেছেন বোলাররা। ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তোলা খুব কঠিন ছিল বলে মত তাঁর।
টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা আয়ারল্যান্ডকে প্রথম দিনই ২১৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ৫ উইকেট তুলেছিলেন তাইজুল ইসলাম, দুটি করে মেহেদী হাসান মিরাজ আর ইবাদত হোসেনরা। এর পর মুশফিকের সেঞ্চুরি আর সাকিব আল হাসান ও মিরাজের ফিফটিতে ১৫৫ রানের লিড নেয় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় আয়ারল্যান্ডও। তবে সফরকারীদের রান শেষ পর্যন্ত তিন শর মধ্যেই আটকে রাখতে সক্ষম হন তাইজুল–ইবাদত–সাকিবরা। ১৩৮ রানের লক্ষ্য পেয়ে বাংলাদেশ তাড়া করেছে ৭ উইকেট হাতে রেখে।
মুশফিকের মতে ব্যাটসম্যানদের রান পাওয়াটা বড় ঘটনা নয়। উইকেটই ছিল ব্যাটিংবান্ধব, ‘এই উইকেটে বোলারদের জন্য কিছুই ছিল না। ওদের সত্যিই লড়াই করতে হয়েছে।’ দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের বোলাররা যে আয়ারল্যান্ডের সব উইকেট তুলে নিয়েছেন, সেটির প্রশংসা করতে গিয়ে মুশফিক বলেন, ‘এই পিচে বোলাররা যেভাবে ২০ উইকেট তুলে নিয়েছে, সেটা অবিশ্বাস্য।’
মুশফিক অবশ্য রানতাড়ায় কিছুটা চ্যালেঞ্জও অনুভব করেছেন। চতুর্থ ইনিংসে ১৩৭ তাড়া করতে নেমে ৪৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। আইরিশ বোলাররা আরও চেপে ধরার আগে পাল্টা আক্রমণে ব্যাটিং শুরু করেন মুশফিক। প্রথম ২৪ বলেই তুলে নেন ৩৮ রান। শেষ দিকে একটু রয়েসয়ে খেলার কারণে মাঠ ছেড়েছেন ৪৮ বলে ৫১ রানে।
নেমেই মেরে খেলার প্রসঙ্গে মুশফিক টানেন বিপদমুক্ত হওয়ার তাড়নার কথা, ‘এ ধরনের উইকেটে শুরুটা ভালো করতে হয়। ইতিবাচক মনোভাবটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে তামিম আর লিটন ভালো ব্যাটিং করেছে। আয়ারল্যান্ড শুরুতেই দুই–তিনটা উইকেট তুলে নিলে আমাদের ওপর চাপ বাড়ত।’