তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে: শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংসে ২৩৩/৬
হিসেবটা পরিষ্কার ছিল-সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ দলকে টিকে থাকতে হলে শ্রীলঙ্কাকে দ্রুত অলআউট করতে হবে। দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কা ৩৬ ওভারে ৫ উইকেটে রান করেছিল ১১৯, লিড ছিল ২১১ রানের। আজ তৃতীয় দিন সকালের সেশনে রানটাকে ৬ উইকেটে ২৩৩-এ নিয়ে গেছে লঙ্কানরা, লিড ৩২৫ রানের। উইকেট হারিয়েছে আর মাত্র ১টি।
ক্রিজে আছেন প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের ছবি পাল্টে দেওয়া দুই ব্যাটসম্যান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। ধনাঞ্জয়া ১২৯ রান বলে ৮৫ রান করে উইকেটে আছেন। মেন্ডিস ৬৯ বল খেলে অপরাজিত ৫০ রানে। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন পেসার খালেদ আহমেদ।
আগের দিন শেষ দিকে ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে নামা বিশ্ব ফার্নান্ডোকে আজ বেশিক্ষণ টিকতে দেননি খালেদ। দিনের তৃতীয় ওভারে খালেদের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ তোলেন বিশ্ব। মেহেদী হাসান মিরাজ নিচু হয়ে দারুণ ক্যাচ নেন। ২৪ বলে ৪ রান করে ফিরেছেন বিশ্ব।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সাফল্য এই এক উইকেটই। বল পুরোনো হওয়ায় পেসারদের খুব একটা কার্যকরী মনে হয়নি। স্পিনও ধরছিল না। সিলেটে মেঘলা আকাশের নিচে আরও একবার দ্যুতি ছড়ালেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
তাঁকে সঙ্গ দেন প্রথম ইনিংসে শতক করা সেই কামিন্দু মেন্ডিস। ধনাঞ্জয়া ৮২ বলে ফিফটি করে এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে, মেন্ডিসের ফিফটি এসেছে আরও দ্রুত (৬৯ বল)। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১০৭ রানের জুটির সৌজন্যে আরও একবার বড় রানের দিকে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা: ২৮০ ও ২৩৩/৬ (করুনারত্নে ৫২, ধনাঞ্জয়া ৮৫*, কামিন্দু ৫০*; নাহিদ ২/৭৯, শরীফুল ১/৪৮, খালেদ ১/৩৮)।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৮৮। (তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্নবিরতি পর্যন্ত)