মার্শের অলরাউন্ড নৈপুণ্যেও জিততে পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস
মার্শের অলরাউন্ড নৈপুণ্যেও জিততে পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস

বৃথা গেল মার্শের কীর্তি, তলানিতেই পড়ে রইল দিল্লি

লড়াইটা ছিল তলানির দুই দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও দিল্লি ক্যাপিটালসের। সেই লড়াইয়ে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ‘প্রায় বিরল’ স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছিলেন মিচেল মার্শ। প্রায় বিরল লেখার কারণ ১৬ বছরের আইপিএল ইতিহাসে এমনটা আজ নিয়ে হলোই মাত্র ৬ বার। মানে প্রায় ৩ বছরে একবার। সর্বশেষ হয়েছিল ৮ বছর আগে।

তা কী সেই কীর্তি? আইপিএলের একই ম্যাচে ৪ উইকেট ও ফিফটি। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৪ উইকেট নেওয়ার পর ৬৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন মার্শ।

আউট হওয়ার আগে মনে হচ্ছিল, আইপিএলে দুই ভাইয়ের সেঞ্চুরির অনন্য নজিরও হয়ে যাবে আজ (২০০৮ সালে সেঞ্চুরি করেছিলেন মিচেল মার্শের বড় ভাই শন মার্শ)। কিন্তু আকিল হোসেনের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে এইডেন মার্করামের হাতে ধরা পড়তেই খেলার মোড় বদলে গেল।

শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদের কাছে ৯ রানে হেরেই মাঠ ছাড়তে হলো দিল্লিকে। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে অভিষেক শর্মা ও হাইনরিখ ক্লাসেনের ফিফটিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করে হায়দরাবাদ। এক সময় মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান তুলে জয়ের পথে থাকা দিল্লি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় থামে ১৮৮ রানে। এ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার আটে উঠে এল হায়দরাবাদ। দিল্লি ৪ পয়েন্ট নিয়ে রয়ে গেল তলানিতেই।

১১তম ওভারের পর থেকে দারুণ বোলিং করেছেন হায়দরাবাদের বোলাররা

টানা পাঁচ হারে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দিল্লি পরের দুটি জিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছিল। যদিও প্রত্যেক ম্যাচই তাদের জন্য হয়ে উঠেছিল প্লে–অফের আগেই নকআউটের মতো। শীর্ষ চারে জায়গা করে নিতে হলে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না তাদের। ৮ ম্যাচের ৬টিতেই হার ও ঋণাত্মক নেট রান রেটে রিকি পন্টিং–সৌরভ গাঙ্গুলীর শিষ্যদের লিগ পর্ব থেকে বিদায় এক রকম নিশ্চিত হয়ে গেল।