আবাহনীর ড্রেসিংরুমে তখন ম্যাচ জয়ের উৎসব। প্রাইম ব্যাংককে ৫৮ রানে হারানোর আনন্দ নাজমুল-তাসকিনের চোখেমুখে। প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ঠিক তখনই এলেন আবাহনীর ড্রেসিংরুমে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ভিউইং এরিয়ায় আবাহনীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের সঙ্গে বসলেন, কথা বললেন। তবে সেখানে সাংবাদিকদের ভিড় দেখে তাঁরা আলোচনাটা নিয়ে যান ড্রেসিংরুমের ভেতরে
ক্লাব ক্রিকেটে এ রকম দৃশ্য নতুন কিছু নয়। তবে আবাহনীর অধিনায়ক নাজমুল আবার বাংলাদেশ জাতীয় দলেরও অধিনায়ক। তাঁর সঙ্গে তামিমের আলাদা করে বৈঠক করাটা তাই কৌতূহল উদ্দীপকই। নাজমুল অবশ্য তামিমের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে কিছুই বলতে চাইলেন না।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন সুকৌশলে, ‘এটা আমার আর তামিম ভাইয়ের মধ্যেই থাক।’ পরে অন্য প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় দলের অধিনায়ক বলেছেন, ‘ভাই, আমি এমনি একটু আড্ডা দিয়েছি। ওই রকম যদি কিছু হয় আপনারা জানতে পারবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল অবশ্য বলেছেন, তামিমের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলে থাকাটা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য বাড়তি সুবিধা, ‘ওনার যে অভিজ্ঞতা আছে, উনি দলে থাকলে অবশ্যই দলের অনেক সুবিধা হয়। জুনিয়র প্লেয়াররা অনেক কিছু শিখতে পারে। এই মুহূর্তে এটা নিয়ে আসলে লম্বা চিন্তা করা মুশকিল। যখন এটা নিয়ে আলোচনা হবে তখন আপনারা জানতে পারবেন।’
বিপিএলের পর ঢাকা লিগেও তামিম দারুণ ছন্দে আছে। তাঁর ব্যাটিং কেমন দেখলেন নাজমুল? এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘আমার দেখাটা তো গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটা নির্বাচকেরা দেখবেন। আমি খেলোয়াড় হিসেবে ছোটবেলা থেকেই ওনার খেলা দেখে এসেছি। যখনই উনি ব্যাটিং করেন, উপভোগ করি। দুর্ভাগ্য যে আজ রান করতে পারেননি। কিন্তু সব মিলিয়ে ডিপিএলে ভালো খেলেছেন। বিপিএলে ভালো ব্যাটিং করেছেন। প্রতিটি ইনিংসই উপভোগ করেছি।’
শুধু তামিমের সঙ্গেই নয়, নাজমুল আজ ম্যাচ শেষে আলাদা করে বসেছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সঙ্গেও। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। এই বৈঠক নিয়ে নাজমুল বলেছেন, ‘কীভাবে আমরা আরেকটু ভালো করতে পারি, সেটা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। খুব বেশি সিরিয়াস কিছু তা নয়।’