শেষ পর্যন্ত যদি টেস্ট দল থেকে বাদই পড়েন, তবু অন্তত ২০২৪ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে চান ডেভিড ওয়ার্নার। টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার গুঞ্জনের মধ্যে দেশে ফিরে এমনই বলেছেন অস্ট্রেলিয়া ওপেনার।
ভারত সিরিজের মাঝপথেই কনুইয়ের চোট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ফিরে যেতে হয়েছে ওয়ার্নারকে। দিল্লিতে কনকাশনেও ভুগেছেন তিনি। তবে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম বলেছে, শুধু এ সিরিজ শেষ নয়, টেস্ট দল থেকেই বাদ পড়তে পারেন এ ওপেনার।
তেমন কিছু হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থাকতে চান, সিডনিতে সংবাদমাধ্যমকে এমনই বলেছেন ওয়ার্নার, ‘সব সময়ই বলে এসেছি, ২০২৪ সাল পর্যন্ত খেলতে চাই। নির্বাচকেরা যদি মনে করেন, আমি এ জায়গার যোগ্য নই, তাহলে সেটিই হবে। সে ক্ষেত্রে সাদা বলে খেলা চালিয়ে যাব।’
গত অক্টোবরে ৩৬ পূর্ণ করা ওয়ার্নারের ফর্মটা তাঁর পক্ষে কথা বলছে না বেশ কিছুদিন ধরেই। সর্বশেষ বক্সিং ডে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ওয়ার্নারের রান-খরার অবসান ধরে নেওয়া হয়েছিল তখন সেটিকে। তবে ভারত সফরে এসে হতাশই করেছেন এ বাঁহাতি। ৩ ইনিংসে করতে পেরেছেন মাত্র ২৬ রান।
২০২২ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৪টি টেস্ট খেলা ওয়ার্নারের গড় মাত্র ২৬.৩৯। আর ২০২১ সালের শুরু থেকে ধরলেও ওয়ার্নারের গড় ৩০-এর নিচে, যেখানে ক্যারিয়ারে ওই সময়ের আগে পর্যন্ত তাঁর গড় ছিল ৪৮.৯৪।
এ বছর ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ খেলতে যাবে অস্ট্রেলিয়া। চলতি বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে প্রথম দুই টেস্টেই ভারতের কাছে হারলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নিয়ে বাড়তি আলোচনা স্বাভাবিকভাবেই হচ্ছে। এর আগে এ সিরিজে খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন ওয়ার্নার।
তবে এখন বয়সটা পক্ষে নেই, ওয়ার্নার সেটি জানেন, ‘আপনার বয়স যদি ৩৬ পেরিয়ে ৩৭ হতে চলে, তাহলে সহজেই সমালোচনার শিকার হবেন। এর আগে সাবেক ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও এটি দেখেছি আমি।’
এখনই নিজের জায়গা ধরে রাখা নিয়ে আশা ছাড়ছেন না যদিও, ‘সামনে এক বছর আছে, আমাদের দলের অনেক খেলা। যদি রান করে যেতে পারি, দলের জন্য নিজের সেরাটা দিতে পারি, জায়গা ধরে রাখতে পারি, তাহলে দলের জন্য দারুণ হবে।’
জুন-জুলাইয়ে হতে যাওয়া অ্যাশেজের আগে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার কোনো টেস্ট সিরিজ নেই। ওয়ার্নারের কিছু করে দেখানোর মঞ্চ তাই সীমিত ওভারই। এরপরও যদি টেস্ট দলে জায়গা ধরে রাখতে না পারেন, তাহলে সেটি মেনে নিতে আপত্তি নেই প্রথম শ্রেণির কোনো ম্যাচ খেলার আগেই আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়া এ ব্যাটসম্যানের, ‘আমি যদি বাকিদের চাপ কমিয়ে দিই, আর দলের অন্য কাউকে নিয়ে ভাবতে না হয়, তাহলে খুশি মনেই সেটি করব।’
সীমিত ওভারে অবশ্য আপাতত ওয়ার্নারের জায়গা পাকাই। এ বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম ভরসার নাম হতে পারেন তিনি। এদিকে সামনের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন ওয়ার্নার, ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো এমন জানিয়েছে।