‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে কীভাবে দেখেন?’
সাবেক ক্রিকেটাররা এ প্রশ্নের মুখোমুখি হন প্রতিনিয়ত। কেউ ক্রিকেটের নতুনত্বকে স্বাগত জানান। টি-টোয়েন্টি আবার অনেকের কাছে সত্যিকারের ক্রিকেট নয়। কেউ আবার বিতর্ক এড়াতে দুটির মধে৵ নিরাপদ জায়গা বেছে নেন। রমিজ রাজা ২০ ওভারের খেলাটার ইতিবাচকতাই বেশি দেখেন। আর সেটা শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য নয়, ক্রিকেটের অন্য দুই সংস্করণের সমৃদ্ধিতেও টি-টোয়েন্টির ভূমিকা দেখেন তিনি।
বিপিএলে ধারাভাষ্য দিতে আসা পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টির সঙ্গে তুলনা টানলেন নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের নেট সেশনের সঙ্গে। নব্বইয়ের দশকে ব্যাটিং অনুশীলনের শেষে এসে বল উড়িয়ে মারার অলিখিত অনুমতি পেতেন রমিজরা। এর আগে বাতাসে বল মারা মানেই ছিল বিরাট এক অপরাধ। রমিজের কাছে এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা ওই নেট সেশনের শেষ রাউন্ডের মতোই। যেখানে ব্যাটসম্যান মেরে খেলার ক্ষেত্রে একেবারেই স্বাধীন। এবার বোলারের মানিয়ে নেওয়ার পালা।
আর সেই আক্রমণাত্মক মানসিকতা থেকেই যে ক্রিকেটের সৃষ্টি, তাঁর সৌন্দর্যটা রমিজ ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, ‘দারুণ। খেলার গতিটা আমার কাছে দুর্দান্ত লাগে। এতে ফিল্ডিংয়ের মান অনেক উন্নত হয়েছে। ফিটনেস ভালো হয়েছে। শট খেলার সামর্থ্য বেড়েছে। স্লোয়ার বল খেলার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা যখন খেলেছি, তখন হয়তো স্টিভ ওয়াহ স্লোয়ার বল করতেন। এখন খেলাটা অনেক ঘটনাবহুল হয়েছে। আর মাঠের দর্শকই প্রমাণ করে যে এই লিগগুলো থাকতে এসেছে।’
টি-টোয়েন্টির দক্ষতাই যে টেস্ট ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করছে, তা তো ক্রিকেট বিশ্ব এর মধ্যেই দেখতে পাচ্ছে। রমিজও সে কথাই বললেন, ‘আমি মনে করি, এটা টেস্ট ক্রিকেটকে সাহায্য করবে। ইংল্যান্ড ও ভারত কী গতিতে খেলছে, দেখছেন তো। আমরা গতবার চমকে গেছি যখন ইংল্যান্ড পাকিস্তানে এক দিনে ৪০০ রান করেছে। টেস্ট ক্রিকেটের ডিএনএ একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টির কারণে। আপনি টেস্ট ক্রিকেটে বিরক্তির জন্ম দিতে পারবেন না। আপনাকে রোমাঞ্চের জন্ম দিতে হবে। সে জন্য টি-টোয়েন্টির চরিত্রটা টেস্টে আনতে হবে।’
ইংল্যান্ডের পথে যে বাকিদেরও হাঁটতে হবে, সে ভবিষ্যদ্বাণীও করলেন রমিজ, ‘দুটি জিনিস দরকার। আপনাকে টেস্ট জিততে হবে। পাশাপাশি এমন ধাঁচের টেস্ট ক্রিকেট খেলতে হবে, যেন তরুণ দর্শক আকৃষ্ট হয়। ওই ঝুঁকিটা নিতে হবে। ইংল্যান্ড সেটা করেছে। অন্য দলগুলোকেও তা করতে হবে। না হলে আপনি পিছিয়ে পড়বেন। কেউই টেস্ট ক্রিকেটে মন্থর শতক দেখতে চাইবে না। সবাই বলের সমান রান দেখতে চাইবে।’