বিসিএলে শতক পেয়েছেন ইয়াসির আলী
বিসিএলে শতক পেয়েছেন ইয়াসির আলী

বিসিএল

দুই বছর পর ইয়াসিরের শতক, প্রান্তিকের ১০ রানের আক্ষেপ

২০২১ সালের অক্টোবরে জাতীয় লিগে সর্বশেষ প্রথম শ্রেণির শতকের দেখা পেয়েছিলেন ইয়াসির আলী। ২৭ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান আরেকটি শতকের দেখা পেলেন ৩১ ইনিংস পর। বিসিএলে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ১৭৯ বলে ১২০ রানের ইনিংস খেলেছেন পূর্বাঞ্চলের এ ব্যাটসম্যান। সঙ্গে ইরফান শুক্কুরের অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংসে দ্বিতীয় দিনশেষে ৭ উইকেটে ২৫২ রান তুলেছে পূর্বাঞ্চল, প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চলের চেয়ে এখন ২৮ রানে পিছিয়ে তারা।

গতকাল ৯ উইকেটে ২৬৬ রানে দিন শেষ করা মধ্যাঞ্চল আজ শেষ উইকেট জুটিতে যোগ করে আর ১৪ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মাহিদুল ইসলাম, ৯১ রানেই থামেন তিনি। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ৭০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে দ্রুত অলআউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল পূর্বাঞ্চল। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন ইয়াসির ও শুক্কুর, দুজন মিলে যোগ করেন ১৫১ রান।

ক্যারিয়ারের দশম শতকের পথে ৭০ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ইয়াসির, তিন অঙ্কে যেতে লেগেছে ১৫৬ বল। নাজমুল ইসলামের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ইনিংসে ৯টি চারের সঙ্গে মারেন ৪টি ছক্কা। চা-বিরতির পর ইয়াসির থামলেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন শুক্কুর, ১৫৪ বল খেলে অপরাজিত তিনি। মধ্যাঞ্চলের বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম নেন সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট, ১টি করে নেন আবু হায়দার, রিপন মণ্ডল, শুভাগত হোম ও সাইফ হাসান।

১০ রানের জন্য শতক পাননি প্রান্তিক নওরোজ

দিনের অন্য ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ১০ রানের জন্য শতক হাতছাড়া করেছেন প্রান্তিক নওরোজ। অবশ্য তাঁর লড়াকু ইনিংসেই দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রানের লিড পেয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। প্রথম ইনিংসে ২১৯ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল উত্তরাঞ্চল।

বিনা উইকেটে ১৯ রানে দিন শুরু করা দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম ৫ উইকেটে কোনো জুটিই সেভাবে বড় হয়নি। ষষ্ঠ উইকেটে মেহেদী হাসানের সঙ্গে প্রান্তিক যোগ করেন ৭০ রান। ৪৩ রান করে মেহেদী থামার পর সপ্তম উইকেটে মঈন খানের সঙ্গে প্রান্তিক যোগ করেন আরও ৪২ রান।

অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলামকে স্লগ করতে গিয়ে খাড়া ওপরে ক্যাচ তুলে প্রান্তিক থামেন ইনিংসের ৮২তম ওভারে, ২২৮ বলের ইনিংসে তিনি মারেন ৮টি চার। ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মঈন। উত্তরাঞ্চলের নাহিদুল ও ইয়াসিন আরাফাত নেন ৩টি করে উইকেট, এনামুল হক নেন ২টি।