শতক করে উত্তরাঞ্চলকে জয় এনে দিয়েছেন মামুন (বাঁয়ে) ও প্রিতম
শতক করে উত্তরাঞ্চলকে জয় এনে দিয়েছেন মামুন (বাঁয়ে) ও প্রিতম

বিসিএল ওয়ানডে

মামুন-প্রিতমের শতকে ৩০০ পেরিয়ে জয় উত্তরের

কক্সবাজারে রান বেশি উঠবে। এ ধারণা থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ওয়ানডে সংস্করণের লিগ পর্বের ম্যাচগুলো কক্সবাজারের দুই ভেন্যুতে দিয়েছে বিসিবি।

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের ম্যাচে ৩০০ রানের ইনিংসের দেখা মিলেছে প্রথম দিনেই। দক্ষিণাঞ্চলের করা ৩০৫ রান টপকে ৬ উইকেটে জিতেছে উত্তরাঞ্চল। পাশের মূল মাঠে মধ্যাঞ্চল ২৩ রানে হারিয়েছে চার দিনের বিসিএলের চ্যাম্পিয়ন পূর্বাঞ্চলকে।

উত্তরাঞ্চলের জয়ের নায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন ও প্রিতম কুমার। দুজনই পেয়েছেন শতকের দেখা। তবে উত্তরাঞ্চলের রান তাড়ার কাজটা সহজ করে দেন ওপেনার হাবিবুর রহমান। গত বিপিএল দিয়ে আলোচনায় আসা মারকুটে এই ব্যাটসম্যান আজ ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ১৫ বলে ৩৪ রান করেন। এরপর তিনে নামা অমিত হাসান ১০ রান করে আউট হলেও মাঝের ওভারে উত্তরাঞ্চলকে রান রেটের চাপ নিয়ে খেলতে হয়নি।

মামুন ও প্রিতমের ১৮২ রানের জুটিটা এসেছে তখনই। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের লেগ স্পিনার ওয়াসি সিদ্দিকী ৪১তম ওভারে এসে মামুনকে আউট করে জুটি ভাঙেন। তার আগে ১১৫ বলে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় ঠিক ১০০ রানে আউট হন মামুন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি মামুনের প্রথম শতক।

ম্যাচসেরা হয়েছেন মামুন

মামুনের পর প্রথম লিস্ট ‘এ’ শতক পেয়েছেন প্রিতমও। ১০৮ বল খেলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় শতক পূর্ণ করে বেশি দূর যেতে পারেননি প্রিতম। সোহাগ গাজীর বলে ১১২ বলে ১০৮ রানে থামে প্রিতমের ইনিংস। অধিনায়ক আকবর আলী ও তাইবুর রহমান অপরাজিত থেকে ৪৮.৩ ওভারে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

দক্ষিণের ব্যাটিংও খারাপ হয়নি। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেরা খেলোয়াড় হয়ে আসা আশিকুর রহমান লিস্ট ‘এ’ অভিষেকে ফর্ম ধরে রেখে করেছেন ৬০ রান। ৭৪ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি দীর্ঘ হতে পারত। কিন্তু পেসার ইয়াসিন আরাফাতের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

অর্ধশতককে শতকে রূপ দিতে পারেননি দক্ষিণের মার্শাল আইয়ুবও। তিনি আউট হয়েছেন ৮০ বলে ৬১ রানে। ইনিংসের শেষের দিকে দক্ষিণের রান বাড়িয়েছেন চোট থেকে ফেরা মোসাদ্দেক হোসেন। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন সোহাগ গাজী। মোসাদ্দেক অপরাজিত ছিলেন ৪৪ বল খেলে ৬৯ রানে, সোহাগের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ৩১ রান। তবে দক্ষিণের ৫ উইকেটে ৩০৫ রান কক্সবাজারের উইকেটে জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

অন্য ম্যাচে মধ্যাঞ্চলের হয়ে শতকের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন মাহিদুল ইসলাম। ৮৬ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৯৫ রান করেন এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। ৫০ পেরিয়েছেন নাঈম ইসলামও। ৫৭ বলে ৫৫ রান করেছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। দুজনের ইনিংসের সৌজন্যে ৭ উইকেটে ২৮৮ রান করে মধ্যাঞ্চল।

আলোকস্বল্পতায় কিছুটা সময় খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ৪৭ ওভারে, পূর্বাঞ্চলের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮১ রান। কিন্তু ইয়াসির আলী (৫২ বলে ৬৭ রান) ছাড়া পূর্বাঞ্চলের কেউই বড় রান করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান এসেছে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে। শেষ পর্যন্ত ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৭ রানে থামে পূর্বাঞ্চল।