ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে অভিষক হয়েছে তৌহিদ হৃদয়ের
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে অভিষক হয়েছে তৌহিদ হৃদয়ের

প্রিমিয়ার ক্রিকেটেও হৃদয়ের জাতীয় দলের ব্যাটিং

রান তাড়ার তেমন চাপ ছিল না। ঢাকা লেপার্ডসকে ১৬৯ রানে অলআউট করার পর শেখ জামালের ব্যাটসম্যানদের কাজ সহজ হয়ে যায় অনেকটাই। তবু জাতীয় দলে তাঁকে যেহেতু আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই করতে হবে, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তৌহিদ হৃদয় আজ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে নিজের প্রথম ম্যাচেও খেললেন আগ্রাসী মেজাজে। চারে নেমে ৩০ বলে খেলেছেন ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তাতে ১০ ওভার হাতে রেখেই ৮ উইকেটে জিতেছে শেখ জামাল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গতবারের চ্যাম্পিয়নদের শুরুটাও হলো জয় দিয়ে।

অপরাজিত ফিফটির সঙ্গে দুটি ক্যাচ নেওয়া হৃদয়ের হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। ম্যাচ শেষে নিজের ব্যাটিং নিয়ে হৃদয় বলছিলেন, ‘আমার পরিকল্পনাই ছিল এইভাবে ব্যাটিং করা। ওই রকম সুযোগ আর পরিস্থিতিও ছিল। সামনে জাতীয় দলের খেলা আছে। যে পরিস্থিতিতে যেভাবে ব্যাটিং করা দরকার, সেভাবেই ব্যাটিং করার চেষ্টা করি।’

গতকালই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন হৃদয়। প্রিমিয়ার লিগে ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতে নেমেই তিনি টি-টোয়েন্টি মেজাজেই খেলেছেন।

প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে খেলতে নেমেই ম্যাচসেরা হয়েছেন তৌহিদ হৃদয়

অবশ্য দুই মাস ধরে হৃদয় টি-টোয়েন্টির আবহে। বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ভালো খেলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। এবার অপেক্ষা ওয়ানডে অভিষেকের।

সেটিও হয়ে যেতে পারে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজেই। আগামীকাল জাতীয় দলের সঙ্গে সিলেট যাবেন হৃদয়। তার আগে প্রিমিয়ার লিগে কাজে লাগালেন ৫০ ওভারের খেলায় নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগটা, ‘আমি ব্যাটিং করার সুযোগ পাইনি। আজ একটা সুযোগ ছিল। চেষ্টা করছিলাম, যেহেতু সুযোগ আছে, কাজেই করতে পারলে ভালো।’

বিপিএলকে সামনে রেখে নিজের ব্যাটিংটা পুরোপুরি বদলে ফেলেছিলেন হৃদয়। কৌশলগত পরিবর্তন এনে সফলও হয়েছেন। ১৩ ম্যাচে ১২ ইনিংস খেলে করেছেন ৪০৩ রান। হয়েছেন বিপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রাহক।

বিপিএলের এই পারফরম্যান্সই তৌহিদের জন্য জাতীয় দলের দুয়ার খুলে দিয়েছে। নিজের পরিবর্তন সম্পর্কে হৃদয় বলছিলেন, ‘আমি নিজেকে বদলে ফেলার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করি প্রতিদিন কীভাবে উন্নতি করা যায়, প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখতে। মানসিকতাও বদলানোর প্রয়োজন ছিল। এখন আমি আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। আমার জোনেও বল এলে খেলার চেষ্টা করি।’