এত চমৎকার একটা শুরুর পর মিডিল অর্ডারের এভাবে ভেঙে পড়া সত্যি অবাক হওয়ার মতো। প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচ বোলাররা জিতিয়ে দিলেও স্বীকার করতেই হবে, এমন পারফরম্যান্স দলের আত্মবিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
তানজিদ হাসান ৮.৫/১০
পরিচ্ছন্ন ইনিংস। শটে বেশ নিয়ন্ত্রণ ছিল। ইনফর্ম ব্যাটসম্যান হিসেবে সুযোগ পেলে ইনিংস আরও বড় করার কথা ভাবতে হবে তানজিদকে।
সৌম্য সরকার ৭.৫/১০
শুরুতে চাপমুক্ত ছিল তানজিদ দ্রুত রান করায়। তারপর একসময় নিজেও কিছু ভালো শট খেলেছে। অনেক দিন পর ব্যাট হাতে সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে।
তাওহিদ হৃদয় ৪/১০
একেবারে বাউন্ডারি লাইনে আউট হয়ে যাওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন কী ইঙ্গিত বহন করছে জানি না। ও আমাদের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ, এটা খেয়াল রাখতে হবে।
নাজমুল হোসেন ৩/১০
ধারাবাহিক ব্যর্থতা থেকে ওর বেরিয়ে আসাটা খুব দরকার। দলের রান বাড়ানোর জন্য তো বটেই, ইতিবাচক অধিনায়কত্বের জন্যও। দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের জন্য অতিরিক্ত ১।
সাকিব আল হাসান ৮/১০
সিরিজের শুরু থেকে খেললে বোধহয় ভালো হতো। যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আবহের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে নেওয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। বোলিংয়ে নিজের সামর্থ্য ঠিকই দেখিয়েছে।
জাকের আলী ৩/১০
ঘরোয়া ক্রিকেটে চাপ নিয়ে খেলার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ওর। আশা করেছিলাম দলের খারাপ সময় সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারবে, তা আর হলো না।
রিশাদ হোসেন ৬/১০
পুরো স্পেল না করলেও অত্যন্ত মিতব্যয়ী ছিল। বলের ওপর চমৎকার নিয়ন্ত্রণ দেখিয়েছে এবং পাশাপাশি ১টি উইকেট।
তাসকিন আহমেদ ৭/১০
বল হাতে আবারও দারুণ শুরু এনে দিয়েছে। শুধু লাইন–লেংথই নয়, গতির বৈচিত্র্যেও দারুণ নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
তানজিম হাসান ৩.৫/১০
সার্বিক বিবেচনায় এই ম্যাচে অনেক বেশি খরুচে। মোস্তাফিজের কাছ থেকে অনেক টিপস নেওয়ার সুযোগ আছে ওর।
মোস্তাফিজুর রহমান ৭.৫/১০
আইপিএলের ফর্ম পুরোটাই ধরে রাখতে পেরেছে, দেখে ভালো লাগল। লাইন–লেংথ, স্লোয়ার, বাউন্সার—সবকিছু মিলিয়ে একেবারে মনের মতো পারফরম্যন্স।
তানভীর ইসলাম ৪.৫/১০
পাওয়ারপ্লে শেষে একটি স্পেলে ২ ওভারে ১৪ রান। পারফরম্যান্স সন্তোষজনক।