উইকেটে এসেই খেলার গতিপ্রকৃতি বদলে দিয়েছেন সাকিব
উইকেটে এসেই খেলার গতিপ্রকৃতি বদলে দিয়েছেন সাকিব

মিরপুর টেস্ট

সাকিব–মুশফিকের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে চাপে আয়ারল্যান্ড

সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। সকালে দ্রুতই মুমিনুল হকের উইকেট তুলে নিলেও সাকিব-মুশফিকের সামনে অসহায়ই হয়ে পড়েছে আয়ারল্যান্ড।

২ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছে ৩ উইকেটে ১৭০ রান নিয়ে। আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ২১৪ রানের সঙ্গে তাদের দূরত্ব এখন ৪৪ রানের। সাকিব অপরাজিত আছেন ৭৪ রানে, মুশফিক ব্যাটিং করছিলেন ৫৩ রানে।

৭৪ রানে অপরাজিত সাকিব

৪০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাকিব ও মুশফিকের আক্রমণাত্মক জুটিতেই। দুজন মিলে যোগ করেছেন ১৩০ রান। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি জুটির তালিকায় শীর্ষে থাকা জাভেদ ওমর ও হাবিবুল বাশার জুটিকে ছুঁয়ে ফেলেছেন সাকিব-মুশফিক, তাঁদেরও এখন ৫টি সেঞ্চুরি জুটি। এখন পর্যন্ত এই জুটিতে রান উঠেছে ৫.৩৪ হারে।

আজ দিনের প্রথম বলে চার মেরে শুরু করেছিলেন মুমিনুল হক। এরপর তাঁর বিপক্ষে নেওয়া আয়ারল্যান্ডের রিভিউ ব্যর্থ হয়, তবু বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি মুমিনুল। দিনের তৃতীয় ওভারে অদ্ভুতভাবে বোল্ড হয়ে যান সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। মার্ক এডেয়ারের বল তাঁর স্টাম্পে আঘাত করে পায়ের পেছন দিয়ে গিয়ে।

সাকিব–মুশফিকের জুটি অপরাজিত ১৩০ রানে

গতকাল প্রথম দিনের শেষ বলে তামিম ইকবালকে আউট করার পর আজ দ্রুত আরেকটি ব্রেকথ্রুতে আইরিশরা ছিল উজ্জীবিত। তবে সাকিব নেমে প্রথম বলেই চার মারেন—এডেয়ারকে ড্রাইভ করে। এরপর থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের চেষ্টাই করে গেছেন অধিনায়ক। তবে বেশি আগ্রাসী হতে গিয়েই কিনা একটু এলোমেলোও মনে হচ্ছিল সাকিবকে। আরেকটি বাউন্ডারি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৩তম বল পর্যন্ত। তবে এরপর থেকে বাউন্ডারি আসতে থাকে নিয়মিত। সাকিবও উইকেটে থিতু হয়ে যান ভালোভাবেই।

কিছু বাজে বল বাদ দিলে আয়ারল্যান্ডের বোলিংটা বেশ আঁটসাঁটই ছিল। সকালে এডেয়ার ও গ্রাহাম হিউমের স্পেলে চাপও তৈরি করতে পেরেছিল তারা। তবে সাকিবের সঙ্গে মুশফিকও প্রতি-আক্রমণে যোগ দিলে দিশেহারা হয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ডের বোলিং। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের পর লেগ স্পিনার বেন হোয়াইট ও পার্ট-টাইম অফ স্পিনার হ্যারি টেক্টরকে এনেও লাভ হয়নি।

৫৩ রানে অপরাজিত মুশফিকুর রহিম

ম্যাকব্রাইন ও কার্টিস ক্যাম্ফারের ওপর চড়াও হন সাকিব-মুশফিক, বাউন্ডারি আসতে থাকে নিয়মিত। ৫৪ বলেই দুজনের জুটিতে উঠে যায় ৫০ রান।

এরপরের লক্ষ্য তো অবধারিতভাবেই ব্যক্তিগত মাইলফলক ছোঁয়া। হোয়াইটকে টানা দুই চারে টেস্ট ক্যারিয়ারে ৩১তম ফিফটি পান সাকিব, মাইলফলকে যেতে তাঁর লাগে মাত্র ৪৫ বল। মুশফিকের ফিফটিতে লেগেছে ৬৯ বল। তিনি মাইলফলকে যান টেক্টরকে সুইপ শটে চার মেরে।

বাধ্য হয়ে এক প্রান্তে হিউমকে ফেরান বলবার্নি, মধ্যাহ্নবিরতির আগের স্পেলে এ পেসার ২ ওভার করলেও ভাঙতে পারেননি সাকিব-মুশফিকের জমে যাওয়া জুটি।