খেলার গতি ধরে রাখতে ওভারের মাঝে সময় পর্যবেক্ষণের জন্য ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ‘স্টপ ক্লক’ ব্যবহার শুরু করতে যাচ্ছে আইসিসি। কোনো দল দুই ওভারের মাঝে বেশি সময় নিলে পেনাল্টির ব্যবস্থাও রাখা হবে। আহমেদাবাদে আইসিসির বোর্ড সভার পর এমন সিদ্ধান্তের কথা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক এই সংস্থা।
আইসিসি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে স্টপ ক্লক–পদ্ধতি চালু করা হবে। এর উদ্দেশ্য হবে দুটি ওভারের মাঝের সময় পর্যবেক্ষণ। যদি আগের ওভার সম্পন্ন হওয়ার ৬০ সেকেন্ড বা ১ মিনিটের মধ্যে পরের ওভার শুরু করা না হয় এবং এমন ঘটনা ইনিংসে তৃতীয়বার ঘটার পর ওই দলকে ৫ রান পেনাল্টি করা হবে। এমনিতে এখন ইনিংসের শেষ দিকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্টসংখ্যক ওভার না করা হলে বৃত্তের ভেতরে অতিরিক্ত ফিল্ডার রাখার নিয়ম আছে।
এ ছাড়া আইসিসির বোর্ড সভায় লিঙ্গ যোগ্যতার ক্ষেত্রে নতুন নিয়মের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইসিসি বলেছে, ৯ মাস পরামর্শের পর এই নতুন নীতি গৃহীত হয়েছে। এটি অনুযায়ী, কোনো পুরুষ যদি বয়ঃসন্ধিকালে উপনীত হওয়ার পর লিঙ্গান্তরিত কোনো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নারী হন, সে ক্ষেত্রে তিনি নারী ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না। মেয়েদের খেলার ‘মর্যাদা, নিরাপত্তা, ন্যয্যতা ও অন্তর্ভুক্তি’র কথা বিবেচনা করে এ নিয়ম চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিসি। এটি অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজ নিজ দেশের আইন অনুযায়ী বোর্ড এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর বাইরে পিচ ও আউটফিল্ড পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রেও নতুন নিয়মের কথা জানিয়েছে। পিচ যে মানদণ্ডে পর্যবেক্ষণ করা হয়, সেগুলো আরও সরল করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে এখন ছয়টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেই শুধু কোনো ভেন্যুর আন্তর্জাতিক মর্যাদা বাতিল করা হবে। আগে এটি ছিল পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
এ ছাড়া এখন থেকে পুরুষ ও নারী উভয় ক্রিকেটেই আইসিসির আম্পায়াররা সমান ম্যাচ ফি পাবেন, সে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে আইসিসির বোর্ড সভায়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজে একজন করে নিরপেক্ষ আম্পায়ার রাখার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।