সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে চতুর্থ বিপিএল শিরোপা জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস
সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে চতুর্থ বিপিএল শিরোপা জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস

সিলেটকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা কুমিল্লার

টস

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।

সিলেট একাদশ

মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান, মুশফিকুর রহিম, রায়ান বার্ল, জর্জ লিন্ডা, থিসারা পেরেরা, লুক উড, তানজিম হাসান।

কুমিল্লা একাদশ

ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, জাকের আলী, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মুকিদুল ইসলাম, মঈন আলী, সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল, জনসন চার্লস।

ফাইনালের আগে কনসার্টে ওয়ারফেজ 

বিপিএলে যে পাঁচটি বিষয় ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে

একদিকে বিপিএলে সফলতম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা আজ ফাইনালে মাঠে নামবে নিজেদের রেকর্ড সমৃদ্ধ করতে। অন্যদিকে বিপিএলে নতুন দল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এর আগে সিলেটের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যা করতে পারেনি, তাঁদের চোখ সেদিকে—বিপিএলের শিরোপা জয়। বিপিএলের নবম আসরের সেরা দুই দলের লড়াইয়ে ভাগ্য নির্ধারক হতে পারে যে পাঁচটি বিষয়, সেটি নিয়ে আলোচনা করা যাক।

দুই ওভারথ্রোর পর উইকেট

এক ওভার, ওভারথ্রো থেকে দুটি চার! ফাইনালে শুরুটা হলো খ্যাপাটে।

প্রথমে মিডঅন থেকে ওভারথ্রো-তে চার পেয়েছেন নাজমুল হোসেন। শেষ বলে ফাইন লেগ থেকে তানভীর ইসলামের ওভারথ্রো থেকে চার এসেছে, সঙ্গে লেগবাই থেকে আরেকটি রান। আন্দ্রে রাসেলের করা প্রথম ওভারে নাজমুল মেরেছেন আরও দুটি চার—মিড অফের ওপর দিয়ে, পরে আউটসাইড-এজে থার্ডম্যান দিয়ে। প্রথম ওভারে এসেছে ১৮ রান।

ঠিক পরের ওভারের প্রথম বলে তানভীরকে জায়গা বানিয়ে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তৌহিদ। এবারের বিপিএলে তানভীরের এটি ১৭তম উইকেট।

ফাইনালে পাগলা হাওয়া

ফাইনালের আগে পারফর্ম করেছেন জেমস ও নগরবাউল

এবার পারলেন না মাশরাফি

প্রথম কোয়ালিফায়ারে পাঁচে নেমে ১৭ বলে ২৬, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তিনে নেমে ১৬ বলে ২৮—চমক দেখিয়েছিলেন মাশরাফি। ফাইনালেও তিনে এলেন, কিন্তু এবার ৪ বলে ১ রান করেই ফিরতে হলো সিলেট অধিনায়ককে। রাসেলকে তুলে মারতে গিয়ে কাভারে কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুলের হাতে ক্যাচ তুলেছেন। সিলেট দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ২৬ রানে।

পিচ্ছিল কুমিল্লা

৪ ওভারে ফিল্ডিংয়ে গড়বড় করে তিনটি চার দিয়েছে কুমিল্লা, সর্বশেষ শর্ট থার্ডম্যানে মিসফিল্ড করেছেন সুনীল নারাইন। এরপরও প্রথম ৪ ওভারে ৩৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি সিলেট। ২ ওভারে তানভীর দিয়েছেন ১০ রান।

সিলেট ৪২/২, ৬ ওভার

প্রথম ওভারে ১৮।

পরের ২ ওভারে ২ উইকেট।

ফাইনালে ঘটনাবহুল শুরুর পর পাওয়ারপ্লেতে সিলেট তুলেছে ৪২ রান। রাসেল, তানভীর, নারাইনের পর মোস্তাফিজকে এনেছেন ইমরুল। এখন পর্যন্ত ভাগ্যের ভালো সহায়তা পেয়েছেন নাজমুল। ২৪ বলে ৩২ রানে অপরাজিত তিনি।

জীবন পেলেন নাজমুল

তানভীরের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলেছিলেন নাজমুল, তবে রাখতে পারেননি ইমরুল। তখন তাঁর রান ছিল ৩৭। কুমিল্লার কাটা ঘুয়ে নুনের ছিটা দিয়েছেন ঠিক পরের বলেই চার মেরে। ৯ ওভারে সিলেট ২ উইকেটে ৬৭ রান।

নাজমুলের ৫০, নাজমুলের ৫০০

৪৩*, ৪৮, ১৯, ৫৭, ১২, ১৩, ৮৯*, ৯, ৬০, ৬, ১৫, ৩, ৩৮, ৪০, ৫০*।

প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপিএলের এক মৌসুমে ৫০০ রানের রেকর্ড গড়লেন নাজমুল। এ মাইলফলকের পথে ফাইনালে ফিফটিও পেয়ে গেছেন এ বাঁহাতি ওপেনার। ৩৮ বলে ফিফটি পেয়েছেন নাজমুল।

এর আগে এক মৌসুমে ৫০০ রানের একমাত্র কীর্তিটি ছিল রাইলি রুশোর, ২০১৮-১৯ মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের হয়ে এ কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। ঠিক পরের মৌসুমে রুশো করেছিলেন ৪৯৫ রান।

নাজমুলের আগে বিপিএলের এক মৌসুমে কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান ছিল মুশফিকুর রহিমের—২০১৯-২০ মৌসুমে ৪৯১ রান।

ইনিংসের প্রথম ছক্কা, আরেকটি মিসফিল্ড

১২তম ওভার, মুকিদুল ইসলামের লেংথ বলে টেনে মিডউইকেট দিয়ে ইনিংসের প্রথম ছক্কাটি মেরেছেন নাজমুল। একটু আগে ফিফটির পর সিলেটের ডাগআউট থেকে নাজমুলের প্রতি বার্তাটা ছিল স্পষ্ট—থাকতে হবে। নাজমুল আছেন এখনো।

এ ওভারে মিসফিল্ড থেকে আরেকটি চার পেয়েছে সিলেট। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মিসফিল্ডে চার দিয়েছেন মোসাদ্দেক। ১২তম ওভারেই ১০০ রান পেয়ে গেছে সিলেট, এ ওভারে শেষে দলীয় রান ২ উইকেটে ১০৪।

নাজমুলকে থামালেন মঈন

ফেরার পথে নাজমুলের চোখেমুপখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, মঈন কমিয়ে আনেন লেংথ। নিচু হওয়া বলটির নাগাল পাননি নাজমুল। ৪৫ বলে ৬৪ রান করে ফিরেছেন সিলেট ওপেনার। ১০৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে সিলেট।

নাজমুল ও মুশফিকের জুটিতে ৫৬ বলে উঠেছে ৭৯ রান।

আউট হয়ে ফেরার পথে নাজমুল

জীবন কাজে লাগাতে পারলেন না বার্ল

নিজের ওপর নিজেই ফুঁসছিলেন রায়ান বার্ল। একটু আগেই জীবন পেয়েছিলেন, তবে সেটি কাজে লাগাতে পারলেন না। খাড়া ওপরে তুললেও নিজের বলে ক্যাচটি নিতে পারেননি মোস্তাফিজ। সে ওভারের শেষ বলে আবার টপ-এজড হয়েছেন, এবার ভুল করেননি মোসাদ্দেক হোসেন। ১১ রানে জীবন পেয়েছিলেন, ১৩ রানেই ফিরলেন বার্ল।

সিলেট ১৬ ওভারে ১৩৪/৪।

মুশফিকের ফিফটি

সুনীল নারাইনকে রিভার্স সুইপে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করলেন মুশফিক, ৩৫ বলে। এর আগে কখনোই বিপিএলের শিরোপা জেতা হয়নি মুশফিকের, ফাইনালে জ্বলে উঠলেন অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান। দলকে নিয়ে যেতে পারবেন বড় একটা স্কোরের দিকে?

অন্য প্রান্তে অবশ্য মুশফিককে রেখে একে একে ফিরছেন সিলেট ব্যাটসম্যানরা। নারাইনকে স্লগ করতে গিয়ে পুরোপুরি মিস করে বোল্ড হয়েছেন থিসারা পেরেরা। ১৩৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ফেলেছে সিলেট।

দুই ক্যাচ মিস, এরপর আউট লিন্ডা

ক্যাচ মিসের রীতিমতো মহড়া দিচ্ছে কুমিল্লা!

মোস্তাফিজের পরপর দুই বলে জর্জ লিন্ডার ক্যাচ ফেলেছিলেন মঈন আলী ও লিটন দাস। এরপর একটি চারের পর আবার তুলে মেরেছিলেন, তবে লং অনে আর ভুল করেননি লিটন। তৃতীয়বারের চেষ্টায় লিন্ডাকে ফেরাতে পারলেন মোস্তাফিজ।

নাজমুল-মুশফিকে সিলেটের ১৭৫

লং অফ থেকে সরাসরি থ্রো! কুমিল্লার আজকের ফিল্ডিংয়ের সঙ্গে ব্যাপারটি মানানসই হলেও সেটিই করলেন মঈন আলী। তাতে ফিরতে হলো জাকির হাসানকে।

শেষ ওভারের শেষ বলে কট বিহাইন্ড হয়েছিলেন মুশফিক, তবে রাসেলের পা ছিল দাগের বাইরে। ফ্রি হিটে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলেছিলেন মুশফিক, সেটি নিয়েছিলেন লিটন। তবে ফ্রি হিট, ভুলেই গিয়েছিলেন। বল থ্রো করার বদলে ছুড়ে মেরেই ড্রেসিংরুমের দিকে ছোটা শুরু করছিলেন ওপেনিংয়ে নামবেন বলে! পরে অবশ্য বুঝতে পেরেছেন ভুল, সিলেট ওই বলে নিয়েছে ২ রান।

রাসেলের করা শেষ ওভারে এসেছে ১২ রান। মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৪৮ বলে ৭৪ রানে। ২০ ওভারশেষে সিলেট তুলেছে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান।

এ রান তাড়া করতে গেলে বিপিএলের নতুন রেকর্ড গড়তে হবে কুমিল্লাকে, এর আগে ফাইনালে এত রান তাড়া করে জেতেনি কোনো দল।

ঝোড়ো শুরু কুমিল্লার

রুবেলের প্রথম ওভারে ৫ রান এলেও তানজিমের পরের ওভারে এসেছে দুই ছক্কা। প্রথমটি মেরেছেন লিটন, পরেরটি নারাইন। শেষ বলে গিয়ে চারও মেরেছেন নারাইন। ২ ওভারে শেষে কুমিল্লা ২২/০।

নারাইনের পর নেই ইমরুলও

রুবেলের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে প্রথমে ক্যাচ দিয়েছেন নারাইন। পরের ওভারে এসে নিজের প্রথম বলেই আঘাত করেছেন জর্জ লিন্ডা, তুলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ইমরুল। ৩৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে কুমিল্লা।

জীবন পেলেন চার্লস

যেন কুমিল্লার ভূত ভর করলো সিলেটের ওপর!

লিন্ডার সঙ্গে ইশারায় একটা ‘যুদ্ধ’ চলছিল লিন্ডার, শেষ পর্যন্ত সেটি জিততে ধরেছিলেন লিন্ডাই। স্লগ সুইপে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলেছিলেন চার্লস। সহজ ক্যাচই ছিল, তবে দুই দফা চেষ্টা করেও রাখতে পারেননি রুবেল। ৮ রানে জীবন পেলেন চার্লস।

পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান তুলেছে কুমিল্লা।

ইংল্যান্ড সিরিজের দলে ডাক পেলেন তৌহিদ হৃদয়

ফাইনালে তেমন কিছু করতে পারেননি, তবে দারুণ বিপিএল কাটানোর পর ইংল্যান্ড সিরিজের দলে ডাক পেয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। বিপিএল ফাইনালের ম্যাচের মাঝপথে দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।

আহা, লিটন

তানজিম করেছিলেন স্লোয়ার, ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন লিটন। এরপর শুধু বলে যেন ব্যাটটা লাগালেন। তাতেই এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে চার। লিটন সেটিই করছেন, যা তিনি করেন। চার্লসের সঙ্গে তাঁর জুটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সিলেটের।

প্রথম ওভারে ২০ রান দেওয়ার পর নবম ওভারে ফেরানো হয়েছিল তানজিমকে, এ ওভারে তিনি দিয়েছেন ১১।

৯ ওভার শেষে কুমিল্লার রান ২ উইকেটে ৭৬, লিটন ও চার্লসের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৪২ রানে। শেষ ১১ ওভারে কুমিল্লার প্রয়োজন ১০০ রান।

ফিফটি জুটি

অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা বেরিয়ে যাচ্ছিল। আবারও লিটন শুধু ব্যাটটি ছোঁয়ালেন তাতে। ডিপ থার্ডম্যানে থাকা ফিল্ডারের নাগালের বাইরে দিয়ে হলো চার। এর আগেই চার্লসের সঙ্গে তাঁর জুটি পেরিয়েছে ফিফটি। নিশ্চিতভাবেই সিলেটের নাগাল থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে এ জুটি, সিলেটের প্রয়োজন ব্রেকথ্রু।

১১ ওভার শেষে কুমিল্লার স্কোর ২ উইকেটে ৯৩ রান, এ সময়ে সিলেটের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৮৯ রান।

লিটনের ফিফটি

বার্লের বলে লেগ সাইডে খেলে সিঙ্গেল, ৩৬ বলে ফিফটি হয়ে গেল লিটনের। ম্যাচে তৃতীয় ফিফটি এটি। শেষ পর্যন্ত লিটনের ইনিংস ছাপিয়ে যেতে পারবে নাজমুল-মুশফিককে?

১২তম ওভারে ১০০ পেরিয়ে গেছে কুমিল্লা। ৪৮ বলে তাদের প্রয়োজন ৭৫ রান।

লিটনকে ফেরালেন রুবেল

নাজমুল নাচলেন, দেখল মিরপুর! ক্যাচটি যে লিটন দাসের!

রুবেল হোসেনের শর্ট বল তুলে মারতে গিয়ে টপ-এজড হয়েছেন লিটন, মিডউইকেট থেকে ডানদিকে ছুটে গিয়ে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন নাজমুল। লিটন ফিরেছেন ৩৯ বলে ৫৫ রান করে, ভেঙেছে চার্লসের সঙ্গে ৫৭ বলে ৭০ রানের জুটি। এ উইকেটটি খুব করে দরকার ছিল সিলেটের।

তানজিমের তৃতীয় ওভারেও ১১

১৪তম ওভারে তৃতীয় স্পেলের জন্য তানজিমকে ফিরিয়েছিলেন মাশরাফি। আগের ২ ওভারে ৩১ রান দেওয়া এ পেসার সর্বশেষ ওভারে দিয়েছেন ১১ রান, দুই চার মেরেছেন মঈন আলী।

৩৬ বলে কুমিল্লার প্রয়োজন ৬০ রান।

লিন্ডা ১/১৪

বোলিং শেষ করলেন লিন্ডা। প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দেওয়া বাঁহাতি এ স্পিনার শেষ ওভারে দিয়েছেন ৩ রান। ১৫তম ওভার শেষ হয়ে গেলেও বোলিংয়ে আসেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। লুক উড ও রুবেল মিলে নিশ্চিতভাবেই ৩ ওভার করবেন, বাকি ২ ওভারের জন্য মাশরাফিকে ঝুঁকতে হবে পেরেরা, বার্ল বা তানজিমের দিকে। যদি তিনি নিজে বোলিংয়ে না আসেন।

সর্বশেষ ২ ওভারে ৮

১৬তম ওভারে এসে মাত্র ৫ রান দিলেন লুক উড, মানে শেষ ২ ওভারে উঠল ৮ রান। ২৪ বলে কুমিল্লার প্রয়োজন ৫২ রান।

রুবেলের ওভারে ২৩

৪ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৫২ রান। রুবেল হোসেনের ওভারের পর সে সমীকরণ এখন ১৮ বলে ২৯ রান। মঈন আলী ছক্কা মেরে শুরু করেছিলেন, এরপর চার্লস মেরেছেন দুটি ছক্কা ও একটি চার। ফিফটিও পূর্ণ করে ফেলেছেন চার্লস।

১৬তম ওভারে এসে মাত্র ৫ রান দিলেন লুক উড, মানে শেষ ২ ওভারে উঠল ৮ রান। ২৪ বলে কুমিল্লার প্রয়োজন ৫২ রান।

১২ বলে ২১

নিজের শেষ ওভারে ৮ রান দিয়েছেন তানজিম, ৪ ওভারে এই পেসার গুণলেন ৫০ রান। ১২ বলে কুমিল্লার প্রয়োজন ২১ রান।

১৯তম ওভার করতে এসেছেন লুক উড।

শিরোপা জিততে কুমিল্লার প্রয়োজন ৬ বলে ৩ রান

ছক্কা। ছক্কা। প্রথম ২ বলেই উডকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন চার্লস। পঞ্চম বলে ‘নাটমেগ’ শটে মেরেছেন আরেকটি চার।

টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিততে কুমিল্লার প্রয়োজন মাত্র ৩ রান, বাকি ৬ বল।

৭ উইকেটে জিতে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

শেষ ওভারে ইনিংসে প্রথমবারের মতো এসেছিলেন মাশরাফি। সংক্ষিপ্ত রানআপে। প্রথম বলে ওয়াইডের পর মঈন লং অনে খেলে নেন সিঙ্গেল। এরপর লং অফে সিঙ্গেল নিয়ে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন চার্লস, যিনি অপরাজিত থাকেন ৫২ বলে ৭৯ রানে। ৮ রানে দাঁড়িয়ে জীবন পেয়েছিলেন চার্লস, সেই তিনিই কুমিল্লার টানা দ্বিতীয় শিরোপার অন্যতম নায়ক!

১৭৬ রানের লক্ষ্যে ৩৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল কুমিল্লা। তবে লিটন ও মঈনের সঙ্গে চার্লসের দুটি জুটিতে বড় জয়ই পেল তারা।

শেষ ৪ ওভারেও প্রয়োজন ছিল ৫২ রান, তবে কুমিল্লার লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ তাদের আশা জোগাচ্ছিল নিশ্চিতভাবেই। ক্রিজে থিতু হওয়া চার্লসের সঙ্গে ছিলেন মঈন। আন্দ্রে রাসেল, মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে আসতে বাকি ছিলেন জাকের আলী। তবে তাঁদের আর প্রয়োজন পড়ল না। কাজ শেষ করলেন চার্লস ও মঈনই। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উঠেছে ৭২ রান, মাত্র ৪০ বলে।

বিপিএলের ইতিহাসে এটিই এখন ফাইনালে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। ২০১৫ সালে বরিশাল বুলসের ১৫৬ রান তাড়া করে জিতেছিল কুমিল্লাই। নিজেদের রেকর্ডই ভাঙল তারা। অন্যদিকে সিলেটের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির শিরোপার অপেক্ষা বাড়ল আরেকটু।

তৃতীয়বারের মতো অধিনায়ক হিসেবে ফাইনাল জিতলেন ইমরুল কায়েস। চারটি ফাইনাল জেতার পর অবশেষে হারলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সব মিলিয়ে কুমিল্লার এটি চতুর্থ বিপিএল শিরোপা।

জনসন চার্লস: ৫২ বলে ৭৯*