শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে শূন্য মেরে তৃতীয় ওয়ানডের দল থেকে বাদ পড়ে যান লিটন দাস। নির্বাচকেরা যদিও এরপর সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে আপাতত বিবেচনা করবেন না বলে ধারণা দিয়েছেন, তবু তাঁদের আশা ছিল টেস্টে অন্তত রানের দেখা পাবে তাঁর ব্যাট। আর সেটা হলে সাদা বলের আত্মবিশ্বাসটাও তিনি ফিরে পাবেন। সংস্করণ ভিন্ন হলেও লিটন মানুষ তো একজনই!
কিন্তু সিলেট টেস্টেও লিটন নির্বাচকদের আশা খুব একটা পূরণ করতে পারলেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৫ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর অবিবেচকের মতো শট খেলে আউট হওয়া সেই আলোচনাটাই ফিরিয়ে আনল। তবে কি সাদা বলের চাপটা গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টের ফিফটি (৬৬*) করা লিটন লাল বলেও টেনে আনছেন? সংস্করণ ভিন্ন হলেও লিটন মানুষ তো একজনই!
‘লিটনের চাপ’ বিষয়ে বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ নিক পোথাসের সূত্র অবশ্য সম্পূর্ণই ভিন্ন। তিনি মনে করেন এই চাপ আসছে বাইরে থেকে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অনুপস্থিতিতে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রধান কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ সহকারী কোচ আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের অনুশীলন শেষে কথা বলছিলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। ‘লিটনের চাপ’ প্রসঙ্গ এল সেখানেই।
অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে পোথাস বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি, লিটন ভালো জায়গায় আছে। সমস্যা হলো লিটনের ওপর চাপটা আসে বাইরে থেকে। আমি মনে করি আমরা যদি লিটনকে লিটনের হাতে ছেড়ে দিই, সে আপনাকে তার সেরাটা দেখাবে।’
লিটনের ওপর চাপটা বাইরে থেকে কীভাবে আসে, সেটারও একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন পোথাস, ‘মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া তার ওপর যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে, আমরা ভুলে যাই যে এই ছেলেরা খুব ভালো ক্রিকেটার এবং তারাও মানুষ।’
দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচের মতে, সবাই যদি লিটনকে সমালোচনা থেকে একটু ছাড় দেয়, তাঁকে একজন মানুষের মতো মনে করে, তাহলে লিটনও পারবেন সাময়িক দুঃসময়ে চক্র থেকে বের হতে। ‘আমরা যদি তাদের সঙ্গে মানুষের মতো আচরণ করি এবং তাকে তার জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ করার সুযোগ করে দিই, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সে আপনাকে সেরা ফলাফলই দেখাবে’—বলেছেন পোথাস।