হোক না মেয়েদের বিশ্বকাপ, তবু কে কবে ভাবতে পেরেছিল, একটি বিশ্বকাপে সব ম্যাচ পরিচালনা করবেন নারী আম্পায়াররা। শুধু কি মাঠের আম্পায়ার, মাঠের বাইরের ম্যাচ রেফারি, টেলিভিশন আম্পায়ার সবাই নারী—অভাবনীয় সেই ভাবনাকেই বাস্তবে রূপ দিয়ে ফেলছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি।
আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আজ ম্যাচ অফিশিয়ালদের নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি। যেখানে ১০ আম্পায়ার ও ৩ ম্যাচ রেফারির সবাই নারী।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু ২০ ওভারের বিশ্বকাপের ফাইনাল ২৬ ফেব্রুয়ারি। ১৭ দিনের সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশসহ দলের সংখ্যা ১০। ২৩ ম্যাচের টুর্নামেন্টের জন্য সাতটি দেশ থেকে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি বেছে নিয়েছে আইসিসি। বাংলাদেশের কেউ অবশ্য নেই সেই তালিকায়।
এক ম্যাচ রেফারি, দুই আম্পায়ারসহ সর্বোচ্চ তিনজন অফিশিয়াল ভারতের। দুজন করে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের আছেন একজন করে।
যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে আইসিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছে, ‘ক্রিকেটে মেয়েদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতেই তাঁদের এ সিদ্ধান্ত। সংস্থাটির জেনারেল ম্যানেজার ওয়াসিম খান বলেন, ‘মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ অফিশিয়ালদের নাম ঘোষণা করতে গিয়ে রোমাঞ্চিত হয়েছি। গত কয়েক বছরে মেয়েদের ক্রিকেট দ্রুত বিস্তৃত হয়েছে। আর সেটির অংশ হিসেবেই মেয়েরা যেন আরও সর্বোচ্চ পর্যায়ে ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পায়, সেটি নিশ্চিত করার উপায় খুঁজেছি। আমরা যে খেলাটিতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই, সেটিরই প্রতিফলন এই ঘোষণা।’
আইসিসির নারী ক্রিকেটের ম্যানেজার স্নেহাল প্রধান মনে করেন, আইসিসির এ সিদ্ধান্তে মেয়েরা ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়ার সাহস পাবেন, ‘এটা পরবর্তী প্রজন্মকে এই বার্তা দেবে যে খেলোয়াড় না হয়েও এখানে ক্যারিয়ার গড়ে খেলাটির শীর্ষ পর্যায়ে বিশ্বকাপে যাওয়ার সুযোগ আছে। ক্রিকেটের সঙ্গে যে নানাভাবে জড়িত হওয়া যায়, সেটিও দেখিয়েছে এ সিদ্ধান্ত।’
এবার যে ১৩ জন ম্যাচ পরিচালনা করবেন, তাঁদের ৭ জনই প্রথমবার যাচ্ছেন বিশ্বকাপে। এর আগে ২০২০ মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২২ মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে আটজন করে নারী অফিশিয়াল ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নারী অফিশিয়াল আছেন নয়জন।