দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটির পর
দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটির পর

স্বাধীনভাবে খেলেই সিরিজে জয়সোয়ালের স্ট্রাইক রেট ১২৮.১৮

বয়স ২২। টেস্ট খেলেছেন মাত্র ১১টি। এই সংখ্যা দেখে তাঁকে আবার কম অভিজ্ঞ ভেবে ভুল করবেন না! ২২ বছর বয়সী এই যশস্বী জয়সোয়ালই ম্যাচ পরিস্থিতি বোঝেন এবং সেই অনুযায়ী চলে তাঁর ব্যাট। যে কারণেই চেন্নাইতে দেখা মেলে এক জয়সোয়ালের আর কানপুরে ভিন্ন একজনের। কানপুর টেস্টে ম্যাচসেরা হয়ে ম্যাচ পরিস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন মাত্র ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের চার ইনিংসের মধ্যে তিনটিতেই ফিফটি করেছেন জয়সোয়াল। চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন ১১৮ বলে। আর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে জয়সোয়াল করেন ৫১ বলে ৭২।

আর দ্বিতীয় ইনিংসে আজ খেললেন ৪৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর রান নয়, উইকেট বাঁচানোতেই মনযোগ দিয়েছিলেন জয়সোয়াল। সে কারণেই অমন মন্থর ইনিংস। আর টি–টোয়েন্টিসুলভ ৫১ বলে ৭২ রানের ইনিংস তো এসেছিল দ্রুত রান তুলে ইনিংস ঘোষণার স্বার্থে।

টেস্টের দুই ইনিংসেই ১০০ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ফিফটি করা প্রথম ভারতীয় জয়সোয়াল

ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়ার পর এই ওপেনার বলেছেন, ‘দলের জন্য কী করতে পারি, সেটা নিয়েই ভাবছিলাম। চেন্নাইয়ের ম্যাচ পরিস্থিতি ও এখানকার ম্যাচ পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। দলের জন্য আমার কী করা উচিত, আমি সেটা করার কথাই ভাবছিলাম, চেষ্টা করেছিলাম। প্রতিটি ইনিংসই গুরুত্বপূর্ণ। আমি সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি, সেইভাবে প্রস্তুতি নেই।’

তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি যেভাবে খেলতে চাই সেভাবেই খেলার কথাই বলেছিলেন রোহিত ভাই ও স্যার (কোচ গৌতম গম্ভীর)। স্বাধীনভাবে খেলার বিষয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছিল, আমাদের মনে জয়ের পরিকল্পনাই ছিল, সেই অনুযায়ী খেলেছি।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে জয়সোয়াল রান করেছেন ১২৮.১২ স্ট্রাইকরেটে

সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে জয়সোয়াল রান করেছেন ১২৮.১২ স্ট্রাইকরেটে। যা কোনো নির্দিষ্ট সিরিজে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ। এর আগে ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১২১.৯৬ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন।

শুধু বাংলাদেশের বোলারদের নয়, ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বোলারদেরও শাসিয়ে ছিলেন জয়সোয়াল। ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে করেছিলেন দুটো ডাবল সেঞ্চুরি। ৮৯ গড়ে ৭১২ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। সেই সিরিজে জয়সোয়াল ছক্কাই মেরেছিলেন ২৬টি। অথচ এর আগে এক পঞ্জিকাবর্ষে ভারতের কোনো ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ ছক্কার সংখ্যাই ছিল ২২টি।

২৯
চলতি বছরে জয়সোয়ালের ছক্কা

চলতি বছরে এরইমধ্যে ২৯টি ছ্ক্কা মেরেছেন এই ওপেনার। সব মিলিয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। ইংল্যান্ডের বর্তমান কোচ ২০১৪ সালে ৩৩টি ছক্কা মেরেছিলেন। অর্থাৎ, সেই রেকর্ড আগামী নিউজিল্যান্ড সিরিজেই ভেঙে ফেলতে পারেন এই ওপেনার।