অধিনায়কত্ব ছাড়তে পারেন বাবর আজম, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো এমন খবর দিচ্ছে। অধিনায়কত্বর ভবিষ্যৎ নিয়ে বাবর নাকি সাবেক পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজার সঙ্গে আলোচনা করেছেন—এমন খবরও ছড়িয়েছিল। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রমিজ বাবরের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে অধিনায়কত্ব নিয়ে বাবরের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, সবার সামনে আনবেন না সাবেক এই পিসিবি প্রধান।
বিশ্বকাপটা বাবরের খুব একটা ভালো যায়নি। চারটি অর্ধশতক পেলেও পাননি শতক। দল হেরেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও। এমন পারফরম্যান্সের ফলে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার থেকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে না থাকা বর্তমান ক্রিকেটার—সবাই বাবরের সমালোচনা করেছেন।
এমনকি পিসিবিকেও পাশে পাননি বাবর। বিশ্বকাপের পর দলের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বিশ্বকাপের মধেই এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল পিসিবি। এমনকি বাবরের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাও ফাঁস করেছিলেন পিসিবির চেয়ারম্যান। সব মিলিয়ে বাবর হতাশ।
তাই অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন রমিজের সঙ্গে। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে বাবর কথা বলেছেন রমিজের সঙ্গে। স্থানীয় এক টেলিভিশনে যা নিয়ে কথা বলেছেন ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সদস্য রমিজ। তিনি বলেছেন, ‘বাবরের মন খারাপ ও বেশ হতাশ মনে হয়েছে। আমার খুবই খারাপ লেগেছে বিষয়টা। অধিনায়কত্ব নিয়ে বাবরের সঙ্গে যে কথা হয়েছে, সেটা সবার সামনে আনতে চাই না।’
চলতি বিশ্বকাপ পাকিস্তান খুব দারুণভাবে শুরু করে। প্রথম দুই ম্যাচে তারা হারায় নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কাকে। তবে এরপর টানা চার ম্যাচে হেরে সেমিফাইনাল স্বপ্ন খাদের কিনারায় চলে যায়। এরপর বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তারা জয় পায়।
এরপরও পাকিস্তান বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে। প্রথম পর্বের সর্বশেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসম্ভব এক সমীকরণ এখন তাদের সামনে। রানরেটে নিউজিল্যান্ডকে টপকে সেমিতে যেতে হলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানকে জিততে হবে ২৮৭ রানে। আর রান তাড়ায় লক্ষ্য ছুঁতে হবে কমপক্ষে ২.১ ওভারের মধ্যে, যেটা ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অনেকটা অসম্ভব।
বিশ্বকাপ শেষেই পাকিস্তানে ফিরে অধিনায়কত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন বাবর, এমনটা জানিয়েছেন পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও সুপার। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বাবর যাঁদের পরামর্শ নিয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই মত বাবরের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পক্ষে। তবে অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে বাবর তাঁর বাবার পরামর্শই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবেন বলে মনে করেন অনেকে।