রিংকু সিংয়ের জীবনের গল্প কমবেশি সবারই জানা। আলীগড়ের এক নিম্নমধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের সন্তান। বাবা সংসার চালাতেন বাড়ি বাড়ি গ্যাসের সিলিন্ডার সরবরাহ করে। কিন্তু কিছুতেই অভাব পিছু ছাড়ছিল না পরিবারটির। এর মধ্যেই রিংকু ক্রিকেট খেলা চালিয়ে গেছেন।
ক্রিকেট খেলে পুরস্কার হিসেবে অল্প যে অর্থ পেতেন, সেটা রিংকু তুলে দিতেন বাবার হাতে। এমনও সময় গেছে, রিংকু পরিবারের জন্য ঝাড়ুদার হিসেবেও কয়েকটা দিন কাটিয়েছিলেন আলীগড়ের মহল্লায়। কিন্তু ক্রিকেট ছাড়েননি।
এভাবে লড়াই করতে করতেই রিংকু এখন আইপিএলের খেলোয়াড়। কাল তো গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জিতিয়ে রিংকু রীতিমতো তারকা বনে গেছেন!
গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন কলকাতার এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। জয়ের জন্য শেষ ৫ বলে ২৮ রান দরকার ছিল কলকাতার। বাঁহাতি পেসার যশ দয়ালের ৫ বলে ৫ ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেরই অবিস্মরণীয় এক গল্প লিখেছেন রিংকু। ৬ বলে ৬ ছক্কা ক্রিকেট কয়েকবারই দেখেছে। কিন্তু রান তাড়ায় শেষ ৫ বলে ৫ ছক্কা স্বীকৃত ক্রিকেটে কেউ দেখেনি।
এমন ছক্কা রিংকু কীভাবে মারলেন? ছক্কাগুলো মারার জন্য কোথা থেকে অনুপ্রেরণা পান, সেই গল্প বলতে গিয়ে অভাব-অনটনের সেই দিনগুলোর কথাই বললেন রিংকু, ‘আমার বাবা অনেক লড়াই করেছেন। আমি একটি কৃষক পরিবার থেকে এসেছি। যেসব মানুষ আমার জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করেছে ও কষ্ট করেছে, মাঠের বাইরে মারা আমার প্রতিটি শট তাদের জন্য।’
রিংকু এরপর যোগ করেন, ‘আমি যে পারব, সেই বিশ্বাস আমার ছিল। লক্ষ্ণৌতে গত বছর আমি একই পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করেছিলাম। তখনো বিশ্বাস ছিল। উইকেটে গিয়ে খুব বেশি ভাবিনি। শটগুলো হয়ে গেছে।’