ভারত–অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল শেষ হওয়ার আগেই অ্যাশেজের আঁচ লাগছে। শুক্রবার এজবাস্টনে শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড–অস্ট্রেলিয়ার ‘ছাইদানি’র লড়াই।
তবে মহামর্যাদার এই সিরিজটির বাইরেও অদূর ভবিষ্যতে বিশেষ উপলক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল; ২০২৭ ও ২০৩০ সালে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
সেই ১৮৭৭ সালে টেস্ট ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয়েছিল। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ড। প্রথম টেস্ট ম্যাচটা ৪৫ রানে জিতেছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
ইতিহাসের বহু বাঁক পেরিয়ে ২০২৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বয়স ১৫০ বছর পূর্ণ হবে। সে বছর মেলবোর্নেই মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ড। ২০৩০ সালেও খেলবে একটি টেস্ট। এই টেস্ট হতে পারে লন্ডনের ওভালে। ১৮৮০ সালে নিজেদের মাঠে প্রথম টেস্ট খেলেছিল ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচটা হয়েছিল ওভালেই। ভারত–অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালও একই ভেন্যুতে চলছে।
২০২৭ ও ২০৩০ সালের টেস্ট দুটিতে অন্য সব আয়োজনের সঙ্গে আছে শেন ওয়ার্নকে শ্রদ্ধা জানানোর পরিকল্পনাও। অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ড সমৃদ্ধ ক্রিকেট ইতিহাসের বেশ কয়েকটি স্মরণীয় ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ওয়ার্নের নাম। অ্যাশেজে সবচেয়ে বেশি উইকেট তাঁর, ৩৬ টেস্টে ১৯৫টি।
বিখ্যাত হয়ে আছে অ্যাশেজে ওয়ার্নের প্রথম বলটাও। ১৯৯৩ সালে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে যে বলে তিনি বোল্ড করেছিলেন মাইক গ্যাটিংকে। লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়ার পর অবিশ্বাস্য বাঁক খাওয়া যে বলটি ইংলিশ মিডিয়ার কল্যাণে ‘বল অব দ্য সেঞ্চুরি’ নাম পেয়েছে।
টেস্ট দুটি আয়োজন প্রসঙ্গে ইসিবির প্রধান নির্বাহী গুল্ড বলেছেন, ‘ধারণাটা বেশ আকর্ষণীয়। এ ধরনের আয়োজন আরও হওয়া উচিত।’
১৮৮২ সালে অ্যাশেজ শুরুর পর বেশির ভাগ সময় পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ড। তবে বিশেষ উপলক্ষে শুধুই একটি টেস্ট এর আগেও খেলেছে দুই দল। ১৯৭৭ সালে শতবর্ষী টেস্টটাও মেলবোর্নে হয়েছিল। কাকতালীয়ভাবে ১০০ বছর আগের প্রথম টেস্টের মতো এটিতেও ৪৫ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
আর ১৯৮০ সালে নিজেদের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলার শতবর্ষ উদ্যাপন করে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই টেস্টটি হয়েছিল লন্ডনেরই আরেক ভেন্যু লর্ডসে।