দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটের আর্থিক দিকটা শক্তিশালী করতেই আয়োজিত হচ্ছে টি–টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। ‘এসএটুয়েন্টি’ নামে আইপিএলের আদলের এই লিগ শুরু হচ্ছে ১০ জানুয়ারি থেকে। কিন্তু অনেক আশার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ শুরুর আগেই পড়েছে শঙ্কার মধ্যে। দক্ষিণ আফ্রিকা এ মুহূর্তে তাদের ইতিহাসের ভয়াবহতম বিদ্যুৎ–সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় এসএটুয়েন্টির খেলাগুলো ফ্লাডলাইটে চালানো নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ৬টি দল অংশ নিচ্ছে। দলগুলোর মালিকানা আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের হাতেই। ভারতীয় উপমহাদেশের বাজার ধরার জন্য লিগের ম্যাচগুলোর সময় নির্ধারিত হয়েছে উপমহাদেশীয় টেলিভিশন প্রাইম টাইমকে মাথায় রেখেই। সে কারণেই ফ্লাডলাইট এই এসএটুয়েন্টির খুব গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় এ মুহূর্তে যে হারে লোডশেডিং হচ্ছে, তাতে ফ্লাডলাইটের আলোয় ম্যাচ আয়োজন বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।
স্টেডিয়ামগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারাহ নিশ্চিত করতে জেনারেটর চালাতে হবে আর এতে খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ–সংকটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটের বেশ কিছু দিন–রাতের ম্যাচ দিনে আয়োজন করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা এ মুহূর্তে ‘স্টেজ–২’ মাত্রার বিদ্যুৎ–সংকটের মধ্যে আছে। প্রতিদিন দেড় থেকে আড়াই ঘণ্টা মানুষকে কাটাতে হচ্ছে বিদ্যুৎহীন। গত মাসে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ পর্যায়ের নেমে গিয়েছিল। বছরের শেষ মাসে ‘স্টেজ–৬’ মাত্রার লোডশেডিংও দেখতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকানদের। বড় বড় শহরগুলোতেও ১১ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে। ২০২৩ সালে এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে সরকারিভাবে।
এসএটি–টোয়েন্টির ম্যাচগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, কেপটাউন, ডারবান, বেনোনি, পার্ল, সেঞ্চুরিয়ন, পোর্ট এলিজাবেথের মতো শহরগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে। যে ছয়টি দল অংশ নিচ্ছে তারা হচ্ছে ডারবান সুপারজায়ান্টস, জোহানেসবার্গ সুপারকিংস, পার্ল রয়্যালস, এমআই কেপটাউন, প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালস, সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপ।