নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন কলিন মানরো। ৩৭ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১ টেস্ট, ৫৭ ওয়ানডে ও ৬৫টি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মানরো ২০২০ সালের পর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেললেও এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন। নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড নিশ্চিত করেছিলেন, দল নির্বাচনের আলোচনায় মানরোর নামও আছে। তবে দুই সপ্তাহ আগে ঘোষিত নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি তাঁর।
মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা মানরো পরের দিকে হয়ে উঠেছিলেন ওপেনার। ছিলেন কিউই দলের আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানদের একজন। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করা তাঁর ৪৭ বলের সেঞ্চুরিটি ওই সময় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের দ্রুততম ছিল।
এর দুই বছর আগে ২০১৬ সালে অকল্যান্ডে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে ফিফটি করেন ১৪ বলে, যা কিউই ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম এবং আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে যৌথভাবে চতুর্থ দ্রুততম। টি–টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩টি সেঞ্চুরিও তাঁরই।
তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১২৩ বার নিউজিল্যান্ডের জার্সি গায়ে তোলা মানরো তাঁর অবসর সিদ্ধান্তের পেছনে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘যদিও জাতীয় দলের হয়ে অনেক দিন খেলা হয়নি, কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টির ফর্ম দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার আশা আমি কখনোই ছাড়িনি। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এই অধ্যায়টা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার এখনই সঠিক সময়।’
মানরো নিউজিল্যান্ডের ২০১৪ ও ২০১৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ছিলেন। খেলেছেন ২০১৯ বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়া নিউজিল্যান্ড দলেও।
মানরোকে কিউই ক্রিকেট সাদা বলে ব্যাটিংয়ের সামনের সারির একজন হিসেবেই মনে রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী স্কট উইনিঙ্ক, ‘কলিন আক্রমণাত্মক এবং ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটিংয়ে আমাদের প্রথম দিকের ব্যাটসম্যানদের একজন, যা এখন বিশ্বজুড়ে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। সে নতুন ধারার খেলার সামনের সারির একজন এবং হিসেবি আর ঝুঁকিপূর্ণ শটের সৃষ্টিশীল ব্যাটসম্যান। এক শর বেশি ম্যাচে অবদানের জন্য তাঁকে আমরা ধন্যবাদ এবং ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।’