চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে চলছে তামাশা। ভারত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না, পাকিস্তানও ভারতের চাওয়া মতো ‘হাইব্রিড মডেলে’ টুর্নামেন্ট করতে রাজি নয়।
শুধু তাই নয়, ভারত পাকিস্তানে না গেলে ভারতকে বর্জনও করতে পারে পাকিস্তান—এমন খবরও শোনা গেছে। এসব অনিশ্চয়তার মধ্যেই এল নতুন খবর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্পোর্টস তাক জানিয়েছে, ভারতও নাকি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে পারে।
পাকিস্তানে ভারত ২০০৮ সালের পর থেকেই কোনো সফরে যায়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ টেস্ট খেলুড়ে প্রায় সব দল নির্বিঘ্নে পাকিস্তানে গিয়ে খেলেছে। তাই ভারতের এমন সিদ্ধান্তে এবার পাকিস্তান সরকারও কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী পিসিবিও ভারতের বিপক্ষে কোনো ধরনের ম্যাচ না খেলা ও ভবিষ্যতে ভারতে দল না পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। ২০২৫ থেকে ২০৩১—এই সাত বছরে ভারতে আইসিসির চারটি বড় ইভেন্ট হওয়ার কথা। এই চারটি ইভেন্টে পাকিস্তান দল না পাঠালে নতুন জটিল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেটা অবশ্য পরের বিষয়। আপাতত এ হুমকির কারণেই নাকি পাকিস্তান থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সরে যেতে পারে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের জন্য সম্ভাব্য আয়োজক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার নামও শোনা গেছে এর মধ্যে। তবে এসএটি-টোয়েন্টির সঙ্গে সাংঘর্ষিক সূচির কারণে সেটা হচ্ছে না। সে কারণে এখন আয়োজক হিসেবে ভারতের নাম আসছে, জানিয়েছে স্পোর্টস তাক।
গত ২৯ বছরে এটি পাকিস্তানে প্রথম কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। পাকিস্তানে সর্বশেষে আইসিসি টুর্নামেন্ট হয়েছিল সেই ১৯৯৬ সালে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের সহ–আয়োজক ছিল পাকিস্তান। এবারের টুর্নামেন্ট নিয়ে তাই পাকিস্তান বেশ রোমাঞ্চিত ছিল। স্টেডিয়ামগুলোয় এখনো চলছে সংস্কারকাজ।
তবে টুর্নামেন্ট যতই এগিয়ে আসছে, পাকিস্তানে খেলা হওয়া শঙ্কা ততই বাড়ছে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট না হলে ৫৪৮ কোটি ৬১ লাখ রুপি ক্ষতি হবে পাকিস্তানের। এখন পর্যন্ত সূচি অনুযায়ী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ খেলা হবে।
গত এশিয়া কাপেও পাকিস্তানে দলে পাঠায়নি ভারত। সেবার অন্য ম্যাচ পাকিস্তানে হলেও ভারতের ম্যাচগুলো হয় শ্রীলঙ্কায়। তবে এরপর পাকিস্তান ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গেছে। হয়তো তাই এবার পাকিস্তান আশা করেছিল, ভারতও পাকিস্তানে আসবে। তবে ভারত হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে চায়।