হারেও ইতিবাচকতা খুঁজতে হয়। পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ আজহার মেহমুদও খুঁজলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানে হারের পর পাকিস্তান কোচ খুঁজে পেলেন বাউন্ডারির শ্রেষ্ঠত্ব। তবে বিশ্বকাপ শুরুর দেড় মাস আগেও পাকিস্তান মাঝের ওভারের ব্যাটিং যে গুছিয়ে উঠতে পারছে না, সেই ভাবনা পুরোপুরি আড়ালও করতে পারলেন না মেহমুদ।
পরিসংখ্যান বলছে, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে সবচেয়ে কম রান তোলা দলগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান দ্বিতীয়। যে সমস্যার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে হেরেছে পাকিস্তান।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয়টিতে ৭ উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে টানা হেরেছে বাবর আজমের দল। চতুর্থ ম্যাচে রান তাড়ায় পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল ১৭৯। প্রথম ছয় ওভারে ৩ উইকেটে ৪৮ রান তোলার পর মাঝের ওভারে অনেকটাই ধীর হয়ে পড়ে পাকিস্তানের রান। ৭ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে ওঠে ৬৮ রান, যদিও উইকেট যায় মাত্র ১টি। এই ব্যাটিংয়েরই চাপ পড়ে শেষ দিকে। শেষ তিন ওভারে ৩৯ আর আর শেষ ওভারে ১৮ রানের সমীকরণের সামনে পড়ে পাকিস্তানের টেল এন্ডার, যা মেলাতে না পারায় ম্যাচ হারতে হয় ৪ রানে।
পাকিস্তান কোচ মেহমুদ ম্যাচ শেষে হারের পেছনে ডাবলস বের করতে না পারার ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন, ‘অনেকগুলো ইতিবাচক দিক আছে। আমরা ওদের তুলনায় বেশি বাউন্ডারি মেরেছি (১৮টির বিপরীতে ২১)। বোলিংয়ে ডট বলও বেশি করেছি। কিন্তু ওরা আমাদের চেয়ে বেশি ডাবলস নিয়েছে, যেটা আমরা পারিনি। এগুলো ভাবনার জায়গা। এসব নিয়ে কাজ চলছে।’
পরিসংখ্যান বলছে, ৭ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে পাকিস্তানের রান তোলার গড় ৭.৩০, টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে এর চেয়ে খারাপ শুধু আফগানিস্তানের (৭.০১ রান)। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম অবশ্য মাঝের ওভারে রানের গতি কমে যাওয়াটা শুরুতে বেশি উইকেট হারানোর প্রভাব বলে মনে করছেন, ‘আমরা পাওয়ারপ্লেতে ৩-৪টা উইকেট হারিয়ে ফেলি। আমরা ইতিবাচকভাবেই রান তাড়া করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। একের পর উইকেট হারিয়ে ফেললে কয়েকটা ওভার ধরে খেলতে হয়। আমরা ওই সময়টায় পিছিয়ে গেছি।’
পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি আগামীকাল।