১০০ বলও টিকল না শ্রীলঙ্কা। সপ্তম শিরোপার লক্ষ্যে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কা অলআউট মাত্র ১৫.২ ওভারে।
অথচ এই ম্যাচ দেখতে কয়েক দিন ধরে লঙ্কান সমর্থকেরা কী আগ্রহ নিয়েই না অপেক্ষায় ছিলেন! টিকিট নিয়ে কী হাহাকার ছিল দেশজুড়ে। পরশু বিকেল থেকে আজ ফাইনাল শুরুর আগপর্যন্ত মোট তিনবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাতে হয়েছে, ফাইনালের সব টিকিট বিক্রি শেষ। কেউ যেন অযথা টিকিট কাউন্টারে ভিড় না করেন। তারপরও টিকিটপ্রত্যাশীদের অনেকে হাল ছাড়েননি। ম্যাচ শুরুর আগেই গ্যালারি ভরে যাওয়ার পরও বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা, যদি খেলা দেখার সুযোগ মেলে।
এমন দর্শক উন্মাদনার ম্যাচেই কি না শ্রীলঙ্কা করল স্মরণকালের বাজে ব্যাটিং। মোহাম্মদ সিরাজের বোলিং তোপে ৬ ওভারের মধ্যে ১২ রানেই নেই ৬ উইকেট। শেষ পর্যন্ত টেনেটুনে ইনিংস গেল ১৬তম ওভারে, রান ৫০। যে রান টপকাতে মাত্র ৩৭ বল লেগেছে দুই ভারতীয় ওপেনারের। ৬ বারের এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নরা ঘরের মাঠে ভারতের কাছে হারল মাত্র সাড়ে ২১ ওভারের ম্যাচে!
এমন একটি ম্যাচ যেকোনো সমর্থকের জন্যই যন্ত্রণাসম। আর মাঠে বসে খেলা দেখার অধীর আগ্রহে থাকা দর্শকদের জন্য তো এর চেয়েও বেশি কিছু। ম্যাচশেষে শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের মুখে তাই এই দর্শকদের জন্য সমবেদনাই ফুটে উঠল। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের দিকে তাকিয়ে দাসুন শানাকা বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক দর্শক মাঠে এসেছেন, তাঁদের আমি ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের হতাশ করায় দুঃখ প্রকাশ করছি।’
শানাকা যখন দুঃখ প্রকাশ করছেন, ততক্ষণে অনেক দর্শকই মাঠ ছেড়ে গেছেন। ম্যাচের প্রথমার্ধেই তাঁদের মন ভেঙে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। ভারতীয় পেসারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যের পাশাপাশি আবহাওয়াও একটি কারণ বলে মনে করছেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক, ‘সিরাজ অসাধারণ বোলিং করেছে। আমি ভেবেছিলাম পিচ ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক হবে। তবে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ারও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা ছিল। আমাদের জন্য খুব কঠিন একটা দিন কেটেছে।’
শ্রীলঙ্কা কোচ ক্রিস সিলভারউড অবশ্য তাঁর দলের ব্যাটসম্যানদেরও দায় দেখছেন। ফাইনালের পর দলের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন করতে গিয়ে সিলভারউড বলেন, ‘প্রত্যাশিত মানের চেয়ে খারাপ খেলেছি। যেভাবে আমরা (ব্যাটিংয়ে) গুটিয়ে গেছি, সেটা হতাশাজনক। আজ আমরা খুবই উঁচু মানের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে খেলেছি। সিরাজ আর বুমরা অসাধারণ খেলেছে। খুব ভালো গতিতে বল করেছে ওরা। তবে এর সঙ্গে আমাদের দুর্বলতাও ছিল।’