আহমেদাবাদের হোটেলগুলোয় এখন ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই’ নোটিশ। ১৪ অক্টোবর নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। দর্শক আগ্রহের দিক থেকে যা বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। জুনের শেষ দিকে বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণার পরপরই আহমেদাবাদের হোটেলগুলোয় আগাম বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। নতুন করে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা জায়গা পাচ্ছেন না হোটেলে।
হোটেলে জায়গা না থাকলেও খেলা দেখতে আসা দর্শকদের তো থাকার উপায় বের করতে হবে। আর সেটারই একটা উপায় হাসপাতালে ভর্তি। স্টেডিয়ামের কয়েক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে থাকা হাসপাতালগুলোয় এখন ‘রোগী’র চাপ বেড়েছে। এই রোগীরা আসছেন শরীর চেকআপ করাতে। তাঁরা চাইছেন, পুরো শরীর চেকআপের জন্য সারা রাত হাসপাতালে থাকতে। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা যেমন হচ্ছে, হোটেলের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচে থাকার ব্যবস্থাও হয়ে যাচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, আহমেদাবাদের কয়েকজন চিকিৎসক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে হোটেলের কক্ষ ভাড়া ২০ গুণের মতো বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে শরীর চেকআপ প্যাকেজের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আহমেদাবাদ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তুষার প্যাটেল রয়টার্সকে বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে আসা মানুষদের মধ্যে স্বাস্থ্য–পরীক্ষার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে এবং হাসপাতালে থাকার ঘটনা দেখা যাচ্ছে।’
তবে আহমেদাবাদের হসপিটালস অ্যান্ডস নার্সিং হোমস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের ভর্তি করাতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে জানান এর প্রেসিডেন্ট ভরত গেধাভি, ‘আমাদের সদস্যদের বলে দেওয়া হয়েছে, এ ধরনের অনুরোধে যেন সাড়া না দেওয়া হয়। যাঁরা রোগী নন, হাসপাতাল তাঁদের জন্য নয়।’
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য প্রথম দফায় টিকিট ছাড়া হয়েছিল আগস্টে। ওই টিকিট এক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়। চলতি মাসে আরও ১৪ হাজার টিকিট বিক্রির কথা জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। আহমেদাবাদের বাসিন্দা হিমেশ প্যাটেল এবং তাঁর বন্ধুরা কয়েক দিনের প্রচেষ্টায় অনলাইন থেকে চারটি টিকিট কিনতে পেরেছেন জানিয়ে বলেন, প্রতিটি টিকিটের দাম ছয় হাজার রুপি করে খরচ হয়েছে, ‘আমরা টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইটে কয়েকটা ডিভাইস দিয়ে লগইন করেছি। কয়েকবার চেষ্টার পর বিক্রি শুরুর ১০ মিনিটে টিকিট বুকিং করতে পেরেছি।’
আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জি এস মালিক জানিয়েছেন, শনিবারের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে ১১ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন থাকবে। এ সময় আহমেদাবাদকে ‘নো ড্রোন জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে।