ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ-উত্তেজনা থাকে সব সময়ই। এবার বাড়তি উত্তাপ নিয়ে এসেছে ২০২৩ এশিয়া কাপ খেলতে ভারতীয় দলের পাকিস্তানের যাওয়া না যাওয়া নিয়ে বিতর্ক। যে বিতর্কের ঢেউ লেগেছে মেলবোর্নে রোহিত শর্মা–বাবর আজমদের ম্যাচেও।
গত মঙ্গলবার বিসিসিআইয়ের বোর্ডসভা শেষে সচিব জয় শাহ বলেন, আগামী বছর এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত। আর মহাদেশীয় আসরটি পাকিস্তানে হবেও না, খেলা হবে নিরপেক্ষা কোনো ভেন্যুতে। বিসিসিআই সচিবের পাশাপাশি জয় শাহ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলেরও (এসিসি) প্রেসিডেন্ট।
তাঁর মন্তব্যের পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এসিসির সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে নিরপেক্ষ ভেন্যু নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি জানিয়ে পিসিবি বলেছে, পাকিস্তানেই হবে এশিয়া কাপ। ভিন্ন কিছু হলে আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ বর্জনেরও হুমকি দিয়েছে পিসিবি।
পাকিস্তান বোর্ডের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আওয়াজ তুলেছেন ইউনিস খান, শহিদ আফ্রিদিসহ বেশ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটারও।
এশিয়া কাপ খেলতে ভারতের পাকিস্তানে যাওয়া না যাওয়া বিতর্কে খেলোয়াড়রা কী ভাবছেন—আজ এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে।
অষ্টম টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসা রোহিত জবাব দিয়েছেন কূটনৈতিক ভাষায়, ‘আমার মনোযোগ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। কারণ, এটাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে কী ঘটবে, তা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না।’ পাকিস্তানের দিক থেকে তীব্রভাবে প্রতিবাদ আসার পর বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেছিলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ভারত সরকার। তবে বিসিসিআই’র চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসেবে বল বোর্ডের দিকেই ঠেলে দিয়েছেন রোহিত, ‘এ নিয়ে আমার ভাবাভাবির কিছু নাই। সিদ্ধান্ত নেবে বিসিসিআই। আমরা শুধু আগামীকালের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি।’
আগামীকাল রোহিতরা বাবরদের মুখোমুখি হবেন মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি)। তিন মাসেরও কম সময়ে এটি ভারত–পাকিস্তানের তৃতীয় দেখা।
আগস্ট–সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের প্রথম রাউন্ড ও সুপার ফোরে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিতে ভারত জিতেছিল ৫ উইকেটে, সুপার ফোরে একই ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান।
এর আগে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসরে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান। সাম্প্রতিক ফল বিবেচনায় পাকিস্তানই কি ফেবারিট, নাকি ভারতকে ফেবারিট মনে করছেন রোহিত? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে অবশ্য স্পষ্ট ভাষাই ব্যবহার করেছেন ভারত অধিনায়ক, ‘ফেবারিট, আন্ডারডগ—এসব শব্দে আমি বিশ্বাস করি না। খেলার দিন মানসিকতা ঠিক রেখে যদি মাঠে না যান, তাহলে আপনি ভালো করতে পারবেন না। আমি বলব, পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়ে কথা বলতে হবে আমাদের। দুই দলের জন্যই ব্যাটিং–বোলিং দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি ফিল্ডিংয়ের কথাও ভুলে যাওয়া চলবে না।