মুশফিকের অমন আউটে তামিম হতভম্ব
মুশফিকের অমন আউটে তামিম হতভম্ব

মুশফিকের অমন আউট দেখে হতভম্ব তামিম

মুশফিকুর রহিমের সুইপ-স্লগ সুইপ খেলাটাকে ঠিকই মনে হচ্ছিল তামিম ইকবালের কাছে। তাঁর মনে হচ্ছিল, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট যেরকম আচরণ করছে, সেখানে ধরে খেলতে গেলেই বরং বিপদ। এর চেয়ে মুশফিক যেভাবে খেলছিলেন, সেটাই ঠিক আছে।

কিন্তু ৪১তম ওভারে কাইল জেমিসনের বলে যেটা করে মুশফিক বলতে গেলে নিজের উইকেটটা নিজেই শেষ করে দিয়ে এলেন, সেটা দেখে রীতিমতো বিস্মিত জাতীয় দলের ওপেনার। মুশফিকের আউট দেখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আজই প্রথম ধারাভাষ্য দিতে মাইক্রোফোন হাতে নেওয়া তামিমের মুখ দিয়ে প্রথমেই বেরিয়ে এল, ‘মুশফিকের এমন আউট খুবই হতাশাজনক।’

মুশফিক তখন ব্যক্তিগত ৩৫ রানে। জেমিসনের করা ওভারের চতুর্থ বলটি ব্যাকফুটে খেলেছিলেন তিনি। বল ব্যাটে লেগে মাটিতে পড়ে বাউন্স খেয়ে ওপরে উঠল। তবে এমন নয় যে সেটি স্টাম্পের দিকে আসছিল বা তাতে তাঁর আউটের কোনো সম্ভাবনা ছিল। মুশফিক তবু ইচ্ছাকৃতভাবে বলটি ডান হাত দিয়ে সরিয়ে দেন।

মিরপুর টেস্টে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন তামিম ইকবাল

নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা সুযোগটা নিতে ভুল করেননি। ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ (যা বর্তমানে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড) আউটের আবেদন করেন। ভিডিও রিপ্লে দেখে থার্ড আম্পায়ার মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ ধরনের আউট হলেন মুশফিক।

ধারাভাষ্যে ওই সময় ছিলেন আতহার আলী খান, তবে মুশফিকের ওরকম আউট দেখে চুপ থাকতে পারেননি ধারাভাষ্য কক্ষে তাঁর পাশেই থাকা তামিম। মুশফিকের আউট দেখে বিস্মিত তামিম বলেন, ‘৮০টিরও বেশি টেস্ট খেলেছে মুশফিক। তাঁর জানা উচিত ছিল এটা করা যায় না।’

মুশফিক ইচ্ছাকৃতভাবে বলটি ডান হাত দিয়ে ধরেন

মুশফিক কেন ওরকম একটা কাজ করতে গেলেন, একজন খেলোয়াড় হিসেবে সেটারও ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তামিম। যার সারমর্ম হলো, এটা হয়তো মুশফিক নেট প্র্যাকটিসের অভ্যাস থেকেই করে ফেলেছেন। নেটে ব্যাটিংয়ের সময় ব্যাটসম্যানের পেছনে কেউ থাকে না। ব্যাটসম্যান শট খেলার পর বল আশপাশে থাকলে অনেক সময় নিজেই হাত দিয়ে সেটা থামিয়ে দেন। মুশফিক হয়তো সে অভ্যাসবশতই ভুলটা করে ফেলেছেন। তবে কোনো অজুহাতই তাঁর অমন বোকার মতো আউট হওয়াটাকে সমর্থন করে না। তামিমও বলেছেন, ‘এ ধরনের আউটে এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না।’

ফিরে গেছেন শাহাদাতও

আউট হওয়ার আগে তরুণ ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মুশফিক চেষ্টা করছিলেন ব্যাটিং বিপর্যয়টা সামলে উঠতে। ৪৭ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ার পর পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৫৭ রান। দলের ১০৪ রানে মুশফিকের আউটে সে প্রতিরোধটা ভেঙ্গে যাওয়ার পর ১২৩ রানের সময় গ্লেন ফিলিপসের বলে কট বিহাউন্ড হয়ে ফিরে যান শাহাদাতও।