শরীফুল ইসলামের করা ইনিংসের প্রথম বলটাকে ফ্লিক করে মিডউইকেট দিয়ে সীমানাছাড়া করেই শুরু করেছিলেন উইল ইয়াং। নিউজিল্যান্ড ওপেনার পরের বলে নিলেন ১ রান। এরপর নন–স্ট্রাইকিং প্রান্তে দাঁড়িয়ে ৪ বলের মধ্যে দুই সতীর্থের আউট হওয়ার সাক্ষী হলেন ইয়াং।
এমন বাজে সূচনার পরও ডানেডিনে আজ বৃষ্টিবিঘ্নিত ৩০ ওভারের ম্যাচটিতে নিউজিল্যান্ড ২৩৯ রান করে ইয়াংয়ের দারুণ এক শতকে। শুধু ব্যাটিং করেই থামেননি ৩১ বছর বয়সী ক্রিকেটার, পরে ফিল্ডিংয়ে বাউন্ডারির সামনে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়েছেন শরীফুলকে।
ডানেডিনে আজ শেষবার যখন বৃষ্টিতে খেলা থামে, ইয়াং অপরাজিত ৪১ রানে। আবার যখন খেলা শুরু হয়, ম্যাচ হয়ে গেছে ৩০ ওভারের। সেখান থেকেই চোখের পলকে সেঞ্চুরি পেয়ে যান ইয়াং।
৪৪ রানে ম্যাচ জয়ের পর টিভিএনজেডকে ইয়াং বলেছেন কীভাবে পেয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতকটি, ‘শুরুর দিকে উইকেট যখন একটু কঠিন ছিল, টমি (ল্যাথাম) ও আমি ভিত্তি গড়ার কাজ করলাম। বৃষ্টিবিরতির পর জানলাম আমাদের হাতে ১০ ওভারের মতো আছে। তাই ভাবলাম, যাই, উইকেটে গিয়ে একটু মজা করে আসি।’
মজা ভালোই টের পেয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। শেষ ৬৪ বলে ১৩১ রান তুলেছেন ইয়াংরা। এর প্রায় অর্ধেকই (৬৪ রান) ইয়াংয়ের।
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের বোলিং পরিকল্পনা যে এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল, সেটিও বলতে ভোলেননি ইয়াং, ‘আমরা কিছুটা সৌভাগ্যবানও। বাংলাদেশ তো তাদের বেশির ভাগ ফ্রন্টলাইন বোলারদের ব্যবহার করে ফেলেছিল। তাই বিরতির পর যখন আবার খেলা শুরু হলো, ওদের কয়েকটা ওভার সমন্বয় করতে হয়েছে। আমাদের জন্য ব্যাপারটা এমন ছিল স্ট্রাইকে যে-ই থাকি না কেন, চেষ্টা করব ছক্কা মারতে।’
ছক্কা কম মারেননি ইয়াংরা। কিউই ওপেনার মেরেছেন চারটি, ল্যাথাম তিনটি ও চ্যাপম্যান দুটি। শেষের দিকে ঝড় তুললেও শুরুটা যে ভালো ছিল না, সেটি ভোলেননি ইয়াং।
প্রথম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর কীভাবে ঘুরে দাঁড়াল নিউজিল্যান্ড, সেটিও বলেছেন ইয়াং, ‘শুরুতে কাজটা কঠিনই ছিল। প্রথম ওভারে ২ উইকেট হারানোটা স্বাভাবিক কিছু নয়। তবে আমি ও টমি উইকেটে একটু পড়ে থাকতে চাইলাম। তখন বল এদিক-ওদিক সুইং করছিল। উঠেও আসছিল এক-আধটু। তবে মনে হচ্ছিল, স্পিন খেলাটা তুলনামূলক সহজ হবে। আমরা জানতাম ওরা স্পিন করবেই। আমরা লক্ষ্য বানাই সেটিকেই।’