অধিনায়কত্বের বাইরে বাবর আজমের যে দিকটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়, সেটি তাঁর টি–টোয়েন্টি ব্যাটিং। তবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে নিজেকে যেন নতুনভাবে গড়ে চলেছেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান। ২০২৪ সালে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি–টোয়েন্টিতে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বাবর।
২৯ বছর বয়সী বাবর কাল এই মাইলফলকে পৌঁছান পিএসএলের ম্যাচে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে ৪৬ রানের ইনিংস খেলার পথে পিএসএলেও নতুন এক কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন বাবর।
গত নভেম্বরে বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া বাবর পিএসএলে পেশোয়ারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। লিগ পর্বে দলটির সাফল্যের (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট) অন্যতম নায়ক ছিলেন বাবর। প্লে–অফ সমীকরণের শেষ তিন ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৬৪, ৩০ বলে ৫৩ ও ৪৬ বলে ৫১ রানের ইনিংস। কাল মুলতানের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ৪৬ রান করেন ৪২ বলে।
টানা চতুর্থ ফিফটি না পেলেও আউট হওয়ার আগে হাজার রানের ঘরে পৌঁছে যান বাবর। চলতি পঞ্জিকাবর্ষে ২১ ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১০০৮ রান। ১০ ফিফটি ও ১ সেঞ্চুরিতে রান তুলেছে ম্যাচপ্রতি ৫৩.০৫ করে।
চলতি বছর রানের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রাসি ফন ডার ডুসেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান বাবরের চেয়ে বেশ পেছনে—১৯ ইনিংসে ৭৬২ রানে। তৃতীয় স্থানে থাকা জেমস ভিন্সের রান ২৫ ইনিংসে ৭০৭।
বাবরের ১০০৮ রানের মধ্যে ২১৩ রান এসেছে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি থেকে (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ইনিংসে)। বাংলাদেশে বিপিএলে খেলে গিয়েছিলেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। সেখানে ৬ ইনিংসে করেছিলেন ২৫১ রান। আর পিএসএলে এখন পর্যন্ত ১০ ইনিংস ব্যাট করে তুলেছেন ৫৪৪ রান। ৫ ফিফটি ও ১ সেঞ্চুরিতে রান তুলেছেন ১৪৪.২৯ স্ট্রাইক রেটে। যা বাবরের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেটের চেয়ে বেশি। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বাবরের স্ট্রাইক রেট ১২৯.১২, টি–টোয়েন্টিতে ১২৯.৪৭।
এবার নিয়ে পিএসএলে তৃতীয় আসরে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন বাবর। এর আগে ২০২১ আসরে ৫৫৪ এবং ২০২৩ সালে ৫২২ রান করেছিলেন তিনি। বাবর বাদে পিএসএলের ভিন্ন তিনটি আসরে ৫০০ রান আছে শুধু রিজওয়ানের (২০২১ সালে ৫০০, ২০২২ সালে ৫৪৬ ও ২০২৩ সালে ৫৫০)।
বাবর পাঁচ শর মাইলফলকে রিজওয়ানকে স্পর্শ করার দিনে অবশ্য জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। বাবরের পেশোয়ারের তোলা ৭ উইকেটে ১৪৬ রান ৩ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় রিজওয়ানের মুলতান। ফাইনালে ওঠার জন্য আরও একটা সুযোগ অবশ্য বাবরের দলের সামনে আছে। আগামীকাল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে নামবে তাঁর দল, প্রতিপক্ষ আজকের ইসলামাবাদ–কোয়েটার এলিমিনেটর জয়ী দল।