হ্যারি ব্রুকের অধিনায়কত্বের অভিষেক, জফরা আর্চারের ফেরা, ওপেনার হিসেবে বেন ডাকেটের প্রথম ওয়ানডে খেলা; ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচের শুরুর আলোচনা ছিল এসব নিয়েই। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের ইনিংস এগোতে এগোতে সেই আলোচনা হয়ে যায় এ রকম-আজ কি ৪০০ রান করে ফেলবে ইংল্যান্ড! একটা পর্যায়ে ৩০ ওভারে ২ উইকেটে তাদের রান ছিল ২০১।
আলোচনার মোড় ঘুরতে খুব বেশি দেরি হয়নি। ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সপ্তম বোলার হিসেবে পার্টটাইম বোলার মারনাস লাবুশেন বল হাতে নিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংসের মোড় দিলেন ঘুরিয়ে। ১৯ রানের মধ্যে ডাকেট ও ব্রুককে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর গতি হারানো ইংল্যান্ড অলআউট হওয়ার আগে করে ৩১৫ রান। আলোচনা শুরু হয়, অস্ট্রেলিয়া এ রান টপকাতে পারবে কি না। ২০ রানেই যে প্রথম উইকেট হারায় তারা। তবে হেডের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে ৩৬ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া, ম্যাচ জিতে নেয় তারা ৭ উইকেটে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ ওভারে অধিনায়ক মিচেল মার্শকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর স্টিভ স্মিথকে সঙ্গে নিয়ে ৭৬ রানের জুটি গড়েন হেড। স্মিথ চলে গেলে ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে তোলেন ৭৩ রান। গ্রিনের আউটের পর লাবুশেনকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ১৪৮ রানের জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দেন তিনি।
দলকে জিতিয়ে হেড যখন মাঠ ছাড়েন, তিনি তখন ১৫৪ রানে অপরাজিত। এই রান হেড করেছেন ২০টি চার ও ৫টি ছয়ে। ৭ চার ও ২ ছয়ে লাবুশেন অপরাজিত ছিলেন ৭৭ রান করে। দুজন মিলে ১৪৮ রানের জুটি গড়েছেন মাত্র ১০৭ বলে।
এর আগে ইংল্যান্ডে তিন শ পেরোনো স্কোর গড়তে পেরেছে ১১ চারে ডাকেটের ৯১ বলে ৯৫ ও ৫ চার ও ২ ছয়ে উইল জ্যাকসের ৫৬ বলে ৬২ রানের ইনিংসে ভর করে। এ দুজনের পর ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের স্কোর ব্রুকের ৩১ বলে ৩৯।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা ও লাবুশেন। জাম্পা ১০ ওভার বল করে দিয়েছেন ৪৯ রান। আর লাবুশেন ৬ ওভারে রান দিয়েছেন ৩৯। অস্ট্রেলিয়ার মোট আটজন বোলার বল করেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন হেড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৪৯.৪ ওভারে ৩১৫ (ডাকেট ৯৫, জ্যাকস ৬২, ব্রুক ৩৯, বেথেল ৩৫; লাবুশেন ৩/৩৯, জাম্পা ৩/৪৯, হেড ২/৩৪)।
অস্ট্রেলিয়া: ৪৪ ওভারে ৩১৭/৩ (হেড ১৫৪*, লাবুশেন ৭৭*, স্মিথ ৩২, গ্রিন ৩২; বেথেল ১/২০, পটস ১/৩৩, লিভিংস্টোন ১/৭৫)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ১-০তে এগিয়ে।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ট্রাভিস হেড।