কয়েক দিন আগেই শেষ হলো ফুটবল বিশ্বকাপের উত্তেজনা। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে চার বছরের জন্য যবনিকা পড়ল ফুটবলের মহাযজ্ঞে। তবে ফুটবল বিশ্বকাপের রেশ শেষ হওয়ার আগেই আলোচনায় ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ।
এখন থেকে বিশ্বকাপে চোখ রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দলগুলো। সে সঙ্গে কাদের হাতে উঠবে বিশ্বকাপ, কারা এগিয়ে থাকবে এ লড়াইয়ে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
বিশ্বকাপ সামনে রেখে কথা বলেছেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা। ক্রিকেট টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে উপমহাদেশের দেশগুলোকে ফেবারিট মানেননি সাবেক এই লঙ্কান অধিনায়ক।
মূলত গত কয়েক বছরে এশিয়ার বাইরের ক্রিকেটাররা উপমহাদেশের কন্ডিশনে যেভাবে মানিয়ে নিয়েছেন, সেটিকেই ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য বিপজ্জনক হিসেবে দেখছেন সাঙ্গাকারা। সঙ্গে আইপিএলের প্রসঙ্গও টেনেছেন সাবেক এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
উপমহাদেশে সর্বশেষ বিশ্বকাপ এসেছে ২০১১ সালে। ভারত-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপে ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। পরের দুই বিশ্বকাপে অবশ্য এশিয়ার কোনো দল ফাইনালেও উঠতে পারেনি।
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে আয়োজিত ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। আর ইংল্যান্ডে আয়োজিত ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে সেই কিউইদের নিরাশ করে বিশ্বকাপ জেতে ইংল্যান্ড।
২০২৩ বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে ভারতে। তবে সেখানেও উপমহাদেশের কোনো দেশকে ফেবারিট মানতে নারাজ সাঙ্গাকারা। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ২০১১ সালের পর ক্রিকেট অনেকটাই বদলে গেছে। সে সময় এশিয়ার কন্ডিশন উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য সহায়ক ছিল। তবে পরের বছরগুলোয় ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা অনেক ভালোভাবে স্পিন বোলিং খেলতে শিখেছেন। এমনকি উপমহাদেশের দলের বিপক্ষেও তাঁরা ভালো করছেন।’
আইপিএল ও খেলার ধরনে আসা বৈচিত্রময়তা এই ধারণাকে বদলে দিয়েছে উল্লেখ করে সাঙ্গাকারা বলেন, ‘আপনি এখন অনেক রিভার্স সুইপ, প্যাডেল শট এবং সুইপ দেখতে পাচ্ছেন। এসব শট খেলতে দারুণভাবে পায়ের ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার মনে হয়, উপমহাদেশে আমরা ক্রিকেটকে যেভাবে দেখতাম, সেখানে অনেক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ ক্ষেত্রে আইপিএলও অনেক সহায়তা করেছে।’