জয়রথ ছুটছেই আবাহনীর। আজ ফতুল্লায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে সব কটিতে জিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানটা ধরে রেখেছে দলটি। যা একটু লড়াই, সেটা পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থান নিয়ে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংককে হারিয়ে সেই জায়গায় উঠে এসেছে শেখ জামাল। ৯ ম্যাচে শেখ জামালের পয়েন্ট ১৪। বিকেএসপিতে গাজী টায়ার্সকে মাত্র ৪০ রানে অলআউট করে ৯ উইকেটে জিতে সমান পয়েন্ট নিয়েও রানরেটে পিছিয়ে থেকে ৩ নম্বরে আছে মোহামেডান।
শেখ জামাল–প্রাইম ব্যাংক
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংককে ৭৩ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল। ওমরাহ হজ পালন করতে যাওয়ায় জামালের হয়ে ম্যাচটি খেলেননি সাকিব আল হাসান। শেখ জামালকে বড় জয়ের মঞ্চ গড়ে দেন ওপেনার সাইফ হাসান।
উদ্বোধনে নেমে ইনিংসের ৪২তম ওভারে হিটআউট হওয়ার আগে ১২০ বল খেলে ১১৫ রান করেন তিনি, লিস্ট এ ক্রিকেটে সাইফের নবম শতক এটি। তাঁর ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো ইনিংসের সৌজন্যে দারুণ শুরু পেয়ে যায় শেখ জামাল। মাঝের ওভারে সাইফকে সঙ্গ দেন সৈকত আলী (৪৩) ও ফজলে রাব্বি (৪২)। শেষের দিকে জিয়াউর রহমানের ৩২ বলে ৩৯ রান শেখ জামালকে নিয়ে যায় ৬ উইকেটে ২৯২ রানে। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন হাসান।
রানতাড়ায় প্রাইম ব্যাংককে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখেন তামিম একাই। ভাগ্যও তাঁর পাশে ছিল। শেখ জামালের ফিল্ডাররা তাঁর ক্যাচ ফেলেছেন তিনবার, একবার হাতছাড়া করেছেন নিশ্চিত রানআউটের সুযোগ। তারপরও তিন অঙ্কের দেখা পাননি তামিম।ইনিংসের ২৬তম ওভারে ৭০ বলে ৬৯ রান করে ফিরে যান কট বিহাইন্ড হয়ে।
বাকিদের মধ্যে মোহাম্মদ মিঠুনের ৪৮ বলে ৪২ রানের সৌজন্যে প্রাইম ব্যাংক করতে পেরেছে ২১৯ রান। শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন টিপু সুলতান। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফ হাসান ও রবিউল ইসলাম। শতকের পর বোলিংয়েও ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা সাইফ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শেখ জামাল: ৫০ ওভারে ২৯২/৬ (সাইফ ১১৫, সৈকত ৪৩, ফজলে রাব্বি ৪২; হাসান ৩/৬৪, রেজাউর ১/৬৮, রুবেল ১/৫৩)
প্রাইম ব্যাংক: ৪৪.১ ওভারে ২১৯/১০ (তামিম ৬৯, মিঠুন ৪২, জাকির ৩৩; টিপু ৪/৫৩, সাইফ ২/৪৪, রবিউল ২/৩৯)
ফল: শেখ জামাল ৭৩ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: সাইফ হাসান।
আবাহনী–লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ
বেশি রান হয়নি ফতুল্লায় আবাহনী ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ম্যাচেও। তারকায় ঠাসা আবাহনীর বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৮.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ৯৯ রান করে রূপগঞ্জ। শামীম হোসেনের ১৮ রান ছিল দলীয় সর্বোচ্চ। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন তানজিম হাসান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তানজিমের প্রথম ৫ উইকেট এটি। এ ছাড়া ৩ উইকেট নেন শরীফুল ইসলাম এবং ২টি নেন তাসকিন আহমেদ।
রানতাড়ায় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আউট হয়ে যান ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। তিনে নামা তাওহিদ হৃদয়ের ইনিংসও দীর্ঘ হয়নি। তবে ওপেনার এনামুল হক ও মোসাদ্দেক হোসেন অপরাজিত থেকে ১০.৪ ওভারেই খেলা শেষ করে আসেন। ৩৪ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন এনামুল, মোসাদ্দেকের ৪৮ রান আসে মাত্র ১৮ বলে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ২৮.৩ ওভারে ৯৯ (শামীম ১৮, শহীদুল ১৭, ইমরানুজ্জামান ১৫; তানজিম ৫/২৩, শরীফুল ৩/২৯, তাসকিন ২/১৬)
আবাহনী: ১০.৪ ওভারে ১০১/২ (এনামুল ৩৭*, মোসাদ্দেক ৪৮*, তাওহিদ ১০; আল আমিন ১/৩৫, হালিম ১/২৬)
ফল: আবাহনী ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: তানজিম হাসান।