ম্যাচ বাঁচাতে পারল না ঢাকা মহানগর। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ব্যাটিং-ধসের শেষ দিনে ব্যাটিং-ধসের শিকার হয়ে খুলনার কাছে হেরে গেছে দলটি। জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডে জিতেছে রাজশাহী ও সিলেট বিভাগও। ড্র হওয়া চট্টগ্রাম-ঢাকা বিভাগ ম্যাচে ৯৯ রানে ফিরেছেন মাহিদুল ইসলাম।
পরশু ফলো অন করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ শুরুই করেছিল ঢাকা মহানগর। অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুবের সেঞ্চুরিতে ভর করে তৃতীয় দিনটা ৪ উইকেটে ২৯৭ রানে শেষ করে দলটি। মার্শাল তাঁর ২৬তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরিটিকে ১৫২ বানিয়ে ফেরার পরই শুরু ধসের। ৩৪৮/৪ থেকে ৩৭২/১০-২৪ রানেই শেষ ৬ উইকেট হারায় মহানগর। খুলনার দুই স্পিনার মেহেদী হাসান ও টিপু সুলতান মিলেই শেষ ৬ উইকেটে ৫টি নিয়েছেন।
ম্যাচ জিততে ২০৭ রানের লক্ষ্য পায় খুলনা। সেই লক্ষ্য ৩৫ ওভারেই ১ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে এবারের লিগে প্রথম জয় পায় দলটি। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া এনামুল হক ৪৭ বলেই ১০ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৭১ রান। আরেক ওপনার অমিত ৪১ ও তিনে নামা ইমরুল কায়েস ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৮০ বলের ইনিংসে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন ইমরুল।
ম্যাচসেরা হয়েছেন দুই ইনিংসেই ৫টি করে উইকেট নেওয়া অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান।
বগুড়ায় রংপুরের বিপক্ষে ১৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা সিলেট গতকালই ২ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলেছিল ৫১ রান। আজ ৪ উইকেট হারালেও বাকি ১৩৯ রান তুলে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে দলটি।
ওপেনার পিনাক ঘোষ ও পাঁচে নামা অধিনায়ক অমিত হাসানকে নিয়ে নাইটওয়াচম্যান রেজাউর রহমানের টানা দুটি ৫০ ছাড়ানো জুটির পর ৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে একটু শঙ্কায় পড়েছিল সিলেট। আসাদুল্লা আল গালিব (২৩*) ও অমিত (৩৭) মিলে সব শঙ্কা দূর করে জয় এনে দেন দলকে। রান তাড়ায় সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেছেন রেজা। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটও নেওয়া রেজাউরই ম্যাচসেরা।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৭ রানে অলআউট হয়ে রাজশাহীকে মাত্র ৬৮ রানের লক্ষ্য দিতে পারে বরিশাল। লক্ষ্যটা ১৫ ওভারেই ৬ উইকেট হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলে রাজশাহী। বরিশালের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ রানে ৬ উইকেট নেন রাজশাহীর বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম।
কক্সবাজার একাডেমি মাঠে দিনের সবচেয়ে বড় ঘটনা মাহিদুল ইসলামের ৯৯ রানে আউট হওয়া। ৯৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা মাহিদুল দিনের দ্বিতীয় বলেই পেসার আহমেদ শরীফের বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দেন টেস্ট অভিষেকের পর প্রথম খেলতে নামা মাহিদুল। তাঁর দল প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ৪০১ রানে। চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১২৪ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল।