বিতর্ক থামার লক্ষণ নেই। বরং কথার পর কথায় তা বেড়েই চলছে। অ্যাডিলেড ওভালে ভারতের বিপক্ষে ভেজা মাঠে খেলতে চাননি সাকিব আল হাসান। কিন্তু সাকিবের কথায় কর্ণপাত করেননি আম্পায়াররা।
সেদিন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে ছিল পাকিস্তানও। ভারতের কাছে বাংলাদেশ হারলে সেমিফাইনালের দৌড়ে আরও পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় তখন বাবর আজমরা। এমন সময়ে আইসিসির বিরুদ্ধে ভারতের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। পরে একই সুরে কথা বলেছেন আরও অনেকেই।
এবার সেই অভিযোগের জবাব দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি রজার বিনি।
গত মাসেই বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়া বিনি আফ্রিদির মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘এভাবে বলা ঠিক হয়নি। আইসিসি আমাদের পক্ষ নেয় বলে মনে করি না। সবাইকে সমান চোখেই দেখা হয়। তাই ওই অভিযোগের কোনো সুযোগই নেই।’
ভারতের হয়ে ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জেতা এই অলরাউন্ডার পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘অন্য দলগুলোর চেয়ে আমরা কোন জায়গায় বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকি? ভারত ক্রিকেটের বড় শক্তি হতে পারে, কিন্তু সবাইকে সমান চোখেই দেখা হয়।’
এর আগে আফ্রিদি তাঁর আলোচিত মন্তব্যটি করেন বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচের সময়।
ভারতের ৬ উইকেটে ১৮৪ রান তাড়া করতে নেমে ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর বৃষ্টি নামায় বন্ধ হয় খেলা। বৃষ্টি শেষে খেলা পুনরায় শুরু হলে ডাকওয়ার্থ–লুইস নিয়মে বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫১। প্রশ্ন ওঠে, মাঝে ৫২ মিনিট বৃষ্টির পর খেলা কি দ্রুতই শুরু করা হয়? মাঠ কি তখন প্রস্তুত ছিল?
বৃষ্টি থামার পর বাংলাদেশ ৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ৭৯ রান। সব মিলিয়ে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান তুলে বাংলাদেশ হারে ৫ রানে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারে সেমিফাইনালের দৌড়ে আরও পিছিয়ে পড়ে পাকিস্তানও। তাই পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা এ ঘটনা নিয়ে বেশ সরব।
অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচে বৃষ্টির কারণে খেলায় বিরতি চলাকালীন দেশটির সংবাদমাধ্যম সামা টিভিতে পাকিস্তানি এক সংবাদকর্মী বলেন, ‘টিভির পর্দাতেই দেখা গেছে, সাকিব এ (মাঠ ভেজা) নিয়ে কথা বলেছে। দেখতেই পারছেন মাঠ ভেজা ছিল। আমার মনে হয়, ভারতের দিকে পক্ষপাত ছিল আইসিসির।’
আফ্রিদি সেই অনুষ্ঠানে প্যানেলের অংশ ছিলেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি কী ঘটেছে। প্রচুর বৃষ্টি হলেও বিরতির পর খেলা দ্রুতই শুরু করা হয়। ভারত খেললে আইসিসি চাপে থাকে এটা বোঝাই যায়। এখানে আরও অনেক বিষয় জড়িত।’