প্রতিদিন রূপকথা লেখা হয় না! সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে ২০০ রানের লক্ষ্য দিয়েও ১০ উইকেটে হেরেছিল ইংল্যান্ড। বাবর আজম খেলেছিলেন ৬৬ বলে ১১০ রানের অপরাজিত ইনিংস, মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে গড়েছেন ২০৩ রানের অবিচ্ছিন্ন ওপেনিং জুটি।
তৃতীয় ম্যাচেও আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ড যখন ৩ উইকেটে ২২১ রান তুলল, তখনো পাকিস্তানি সমর্থকেরা হয়তো এমন কিছুই স্বপ্ন দেখেছিলেন। তবে সেটা আর করতে পারেননি বাবর–রিজওয়ানরা। কারণটাও খুবই সহজ, প্রতিদিন যে আর রূপকথা হয় না। পাকিস্তান ম্যাচটি হেরেছে ৬৩ রানে।
২২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জিততে গেলে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড নতুন করে লিখতে হতো বাবর আজমের দলকে। সেটা তো হয়ইনি, উল্টো শুরুতেই বাবর–রিজওয়ানকে হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পাকিস্তান। আগের দুই ম্যাচের নায়ক বাবর– রিজওয়ান দুজনেই ফেরেন ৮ করে রান নিয়ে।
আট মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা মার্ক উডের ৯৫ মাইলে ছোড়া বাউন্সার ঠিকভাবে খেলতে পারেননি বাবর। ধরা পড়েন বাউন্ডারি লাইনে। টপলির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রিজওয়ান। হায়দার আলীও ফেরেন উডের শর্ট বলে।
মোহাম্মদ নওয়াজ ও খুশদিল শাহও ইনিংস বড় করতে পারেননি। চলতি সিরিজে টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক শান মাসুদ অবশ্য একাই লড়েছেন। যদিও সে লড়াই শুধু হারের পার্থক্যই কমিয়েছে। করেছেন অপরাজিত ৬৫ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে উড নিয়েছেন তিন উইকেট।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড তৃতীয় ওভারে হারিয়েছিল ফিল সল্টকে। এরপর সপ্তম ওভারে ১৫ বলে ১৪ রান করে ফেরেন ডেভিড ম্যালানও। ততক্ষণে ঝড় শুরু করেছেন অভিষিক্ত উইল জ্যাকস, ৮টি চারে ২২ বলে করেন ৪০ রান। দলীয় ৮২ রানে ফেরেন জ্যাকস, ইংল্যান্ড এরপর উইকেট হারায়নি আর।
ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেয়েছেন বেন ডাকেট। ব্রুক অপরাজিত থাকেন ৩৫ বলে ৮১ রানে, মারেন ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা। ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ বলে ৬৯ রান ডাকেটের। দুজনের অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬৯ বলে ওঠে ১৩৯ রান। লেগ স্পিনার উসমান কাদির ২ উইকেট নিতে খরচ করেন ৪৮ রান।
সাত ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ জিতে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড।