বাংলাদেশ দল যেন সমস্যার অন্য নাম। দারুণ শুরুর পরও মিডল অর্ডারের ধসে বাংলাদেশ গতকাল ভারতের বিপক্ষে তুলেছিল মাত্র ২৫৬ রান। এই পুঁজি নিয়ে কী আর ভারতের রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলি-শুবমান গিলদের সামলানো যায়!
ফলাফল ৭ উইকেটের বড় হার। বড় হার অবশ্য বাংলাদেশের জন্য নতুন নয়। আগের দুই ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা। বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্সে বাংলাদেশকে একেবারে ধুয়ে দিলেন ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ।
২৫৬ রানের পুঁজি, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন আর কী-ইবা করতে পারতেন! ভারতীয় দুই ওপেনার রোহিত ও শুবমানের বিপক্ষে একমাত্র বাঁহাতি স্পিনার নাসুমকেই নিয়ে এসেছেন। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মানে উইকেট এনে দিতে পারেননি। তবে রানের গতি কিছুটা হলেই কমে এসেছিল।
তবে সময়ের সেরা এই ওপেনিং জুটিকে তো আর এক নাসুমকে দিয়ে আটকানো সম্ভব নয়। দুজনে গড়েছিলেন ৭৬ বলে ৮৮ রানের জুটি। ক্রিকবাজে ম্যাচ–পরবর্তী এক অনুষ্ঠানে শেবাগকে দ্রুত স্পিনার নিয়ে আসার কৌশল নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সঞ্চালক।
সেই প্রশ্নের উত্তরেই শেবাগ বাংলাদেশকে খোঁচা দিয়েছেন, ‘দ্রুত স্পিনার নিয়ে এসেছে, কিন্তু তাতে কোনো লাভ তো হয়নি। তবে এটা হয়েছে, যে প্রথম ১০ ওভারে ভারতীয় দল যে ৮০ থেকে ৯০ তুলছিল, সেটা কিছুটা কম হয়েছে। তবে স্পিনার নিয়ে আসা হয়েছিল উইকেটের জন্য, সেটা পাওয়ার প্লেতে মেলেনি। উইকেটও তো এমন ছিল না, টার্ন ছিল না। বল থেমে থেমে আসেনি, ব্যাটে আসছিল। আর এটা তো বাংলাদেশই, আমরা কি অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের কথা বলছি নাকি। ওদের কাছে প্রত্যাশাই এমন, সেখানেই ওরা থাকবে।’
গতকাল বাংলাদেশ শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত। উদ্বোধনী জুটি থেকে এসেছে ৯৩ রান। তবে ইনিংসের ১৫ থেকে ৪৫তম ওভারের মধ্যে মাত্র ১২০ রান করেছে বাংলাদেশ দল, হারিয়েছে ৬টি উইকেট। শেবাগের ধারণাই ছিল বাংলাদেশ এমন রানই করবে, ‘আমাদের অনুমান ছিল বাংলাদেশ ২৬০-২৬৫ রান করবে, সেটিই হয়েছে। আর এটা সাধারণ ক্রিকেট খেললেও হয়। এই বাংলাদেশ প্রত্যাশার চেয়ে কয়েকবার বেশি রান করে চমকে দিয়েছে। তবে আমি আজও বলি বাংলাদেশ বাংলাদেশই, তাদের যেন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা না ভাবি।’
ঘরে দুর্দান্ত খেলা বাংলাদেশ বাইরে গেলেই কেন নিজেদের সেরাটা দিতে পারে না এই প্রশ্নে ভারতের সাবেক ওপেনার পার্থিব প্যাটেল বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বাইরে গেলে, উইকেটে থেকে সাহায্য না পেলে, তাদের দলের আসল চিত্রটা বেরিয়ে আসে। উইকেটে যদি সাহায্য না থাকে তখন সামর্থ্যের কথা আসে। ওই সামর্থ্যটাই এই দলের নেই। বাংলাদেশের আসলে সুযোগই ছিল না, তারা অপেক্ষা করেছে ৩৫ ওভারের পর কখন ম্যাচটা শেষ হয়।’