বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাঁর থাকারই কথা ছিল না। ছিলেন স্ট্যান্ডবাই দলে। যশপ্রীত বুমরার চোট কপাল খুলে দিয়েছে মোহাম্মদ শামির। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে শামি যে মুখিয়ে ছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ১ ওভার বল করেই সেটা প্রমাণ করেছেন। পুরো ম্যাচে গ্যালারিতেই বসে ছিলেন শামি।
শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার যখন ১১ রান প্রয়োজন, বল করতে আসেন এই পেসার। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের ফলই বদলে দিয়েছেন। সেই ওভারে সব মিলিয়ে পড়েছে ৪ উইকেট, অন্যটি রানআউট। প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচটি ভারত জিতেছে ৬ রানে।
ব্রিসবেনে লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমার যাদবের ফিফটিতে আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৭ রান তোলে ভারত। রান তাড়ায় অ্যারন ফিঞ্চের ৫৪ বলে ৭৬ রানের পরও ১৮০ রানের বেশি করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপের আগে বুমরার না থাকা দুশ্চিন্তায় রেখেছিল ভারতকে। কিংবদন্তি অনেক ক্রিকেটারও শামিবিহীন ভারতের বোলিং লাইনআপকে ‘নখদর্পহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষের যখন শেষ ওভারে ১১ রান প্রয়োজন, তখনই শামিকে হয়তো বাজিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সেই পরীক্ষায় বেশ ভালোভাবেই উতরে গেছেন এই পেসার।
শেষ ওভারে প্রথম দুই বলে চার রান দেন শামি। শেষ ৪ বলে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। এরপরই দেখা মেলে শামির জাদুকরি বোলিংয়ের। ওভারের তৃতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বিরাট কোহলির দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরেন প্যাট কামিন্স। লং অনে এক হাতে ক্যাচ নিয়ে কামিন্সের বিদায় নিশ্চিত করেন কোহলি।
পরের বলে শামির হাতেই রানআউটের শিকার হয়ে ফেরেন অ্যাশটন অ্যাগার। ওভারের শেষ দুই বলে আরও দুর্দান্ত শামি। দারুণ বলে জস ইংলিসকে ফেরানোর পর শেষ বলে বোল্ড করেন কেইন রিচার্ডসনকেও। শামির বিধ্বংসী ওভারেই ১৮০ রানে থামে অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপের লড়াইয়ে নামার আগে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত। বুধবার রোহিতদের প্রতিপক্ষ কেইন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিক ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া অবশ্য আর কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। ২২ অক্টোবর গতবারের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে নামবে অ্যারন ফিঞ্চের দল।