নেপালের বিপক্ষে মাত্র ১০৬ রান করেও জিতেছে বাংলাদেশ। তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান করেছেন দুর্দান্ত বোলিং। সেন্ট ভিনসেন্টের ম্যাচে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি রেকর্ড—
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আগে ব্যাটিং করে এত কম রানের স্কোর নিয়ে এর আগে কখনোই জেতেনি কোনো দল। এবারই বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ রানে জয় ছিল আগের রেকর্ড।
বাংলাদেশও এর আগে কখনো এত কম রানের সম্বল নিয়ে ম্যাচ জেতেনি। আগের সর্বনিম্ন স্কোর ডিফেন্ড করার রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে—২০২১ সালে মিরপুরে ১২২/৮। (মাঝে এশিয়ান গেমসে ১১৬ রান করেও মালয়েশিয়াকে হারিয়েছে বাংলাদেশের একটি দল, যে ম্যাচগুলোর টি-টোয়েন্টি মর্যাদা আছে)।
সব মিলিয়ে ২০ ওভারের খেলা হয়েছে, এমন ম্যাচগুলোতে আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলোর মধ্যে এর চেয়ে কম রান ডিফেন্ড করার রেকর্ড আছে দুটি—ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৯৬, প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড) ও জিম্বাবুয়ে (১০৫, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
আইসিসির সহযোগী কোনো দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটিই সর্বনিম্ন স্কোর। আগের সর্বনিম্ন ছিল ২০১৪ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে হংকংয়ের বিপক্ষে ১০৮ রান। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ২ উইকেটে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয়বার একই ম্যাচে দুই দলই অলআউট হলো। বাংলাদেশ-নেপালের আগে ২০১০ সালে গ্রস আইলেটে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড এবং ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছিল।
দ্বিতীয়বার ম্যাচের প্রথম বলে উইকেট হারাল বাংলাদেশ। তানজিদ হাসানের আগে ম্যাচের প্রথম বলে আউট হয়েছিলেন আরেক ‘তামিম’—তামিম ইকবাল। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট কিটসে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র দ্বিতীয়বার এত কম রানে ৪ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রিজটাউনে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়েছিল ১৫ রানের মধ্যে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার এখন তানজিম হাসান। তাঁর ওপরে মোস্তাফিজুর রহমান। ২০১৬ সালে কলকাতায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মোস্তাফিজ ২২ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।
তানজিম ও মোস্তাফিজ দুজনই আজ ৪ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ৭ রান করে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভার বোলিং করে বাংলাদেশের একাধিক বোলারের ১০ রানের নিচে খরচ করার প্রথম ঘটনা এটি।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে এক ইনিংসে দুটি মেডেন ওভার করলেন তানজিম। এর আগে এ রেকর্ড ছিল আর আটজনের। তবে তানজিম এই ইনিংসে করেছেন ২১টি ডট বল, বিশ্বকাপে কোনো বোলারের যা সর্বোচ্চ। এ ম্যাচে মোস্তাফিজ করেছেন ২০টি ডট বল। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে ২০টি করে ডটের কীর্তি আছে ৯ বোলারের, এর মধ্যে সাতজনই এবারের আসরে।
এই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে ৩টি ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। ২০১৪, ২০১৬, ২০২১ ও ২০২২ সালে জিতেছিল ২টি করে ম্যাচ।