ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে ইংল্যান্ড একাদশে ফিরেছেন জেমস অ্যান্ডারসন
ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে ইংল্যান্ড একাদশে ফিরেছেন জেমস অ্যান্ডারসন

অ্যাশেজ

ওল্ড ট্রাফোর্ডেই ফিরলেন অ্যান্ডারসন

জেমস অ্যান্ডারসন প্রান্ত থেকে বোলিং করছেন জেমস অ্যান্ডারসন—অ্যাশেজে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে এমন সম্ভাবনা জোরাল হলো আরও। চতুর্থ টেস্টের দলে ফেরানো হয়েছে ইতিহাসের সফলতম পেসারকে। হেডিংলি টেস্টের একাদশ থেকে একটিই পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড। অ্যান্ডারসন এসেছেন আরেক পেসার ওলি রবিনসনের জায়গায়। আগামী বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টের জন্য আজ একাদশ ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।

এজবাস্টনের পর লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টেও হারের পর হেডিংলিতে পরিবর্তন এনেছিল ইংল্যান্ড। যেটি এসেছিল বোলারদের মধ্যেই। মার্ক উড ও ক্রিস ওকস ফিরেছিলেন, জশ টাংয়ের সঙ্গে বাদ পড়েছিলেন অ্যান্ডারসনও। প্রথম দুই টেস্টে ৭৫.৩৩ গড়ে মাত্র তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন এ মাসেই ৪১ পূর্ণ করতে চলা পেসার। হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন দলে ফেরা উড ও ওকস। দুজনই জায়গা ধরে রেখেছেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে।

রবিনসনেরও অবশ্য চোটের সমস্যা ছিল। হেডিংলিতে প্রথম ইনিংসে ১১.২ ওভার বোলিং করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করেননি। যদিও ব্যাটিংয়ের জন্য ফিট ঘোষণা করা হয়েছিল তাঁকে। হেডিংলি টেস্টের আগেই ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেছিলেন, একাদশ এমনভাবে সাজানো যাতে তিনি এক ওভার বোলিং না করলেও কোনো অসুবিধা না হয়। হেডিংলি টেস্টের আগেই ওল্ড ট্রাফোর্ডে অ্যান্ডারসনের খেলার ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছিলেন স্টোকস। তিনি বলেছিলেন, ‘অ্যান্ডারসন একটু বিশ্রামের সুযোগ পাবে, পরের সপ্তাহে ওল্ড ট্রাফোর্ডে জেমস অ্যান্ডারসন প্রান্ত থেকে ছুটে আসতে পারবে।’

ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুশীলনে মার্ক উডের সঙ্গে অ্যান্ডারসন (ডানে)

২০১৯ সালে দেশের মাটিতে সর্বশেষ অ্যাশেজে প্রথম টেস্টের মাঝপথেই ছিটকে গিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। এবারও তিনি ফিরেছেন কুঁচকির চোট থেকে। ওল্ড ট্রাফোর্ড অ্যান্ডারসনের ঘরের মাঠ। এ ভেন্যুতে এটিই তাঁর শেষ অ্যাশেজ টেস্ট, এমনটি বলাই যায়। এ মাঠে তাঁর শেষ টেস্টও হতে পারে এটি।

এদিকে অ্যান্ডারসনকে নিয়ে তাঁর দীর্ঘদিনের নতুন বলের সঙ্গী ব্রড বলেছেন, ‘সে ওল্ড ট্রাফোর্ডে কতশত ওভার করেছে, কে জানে! চাপের মুখে তার কাছ থেকে বড় এক পারফরম্যান্সই আশা করছি।’ এ মাঠে অ্যান্ডারসনের রেকর্ডও দারুণ—২২.০২ গড়ে ১০ ম্যাচে ৩৭ উইকেট আছে তাঁর। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ মাঠে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।

হেডিংলি টেস্ট জিতে এখনো অ্যাশেজে নিজেদের সম্ভাবনা টিকিয়ে রেখেছে ইংল্যান্ড। অবশ্য সিরিজ জিততে পরের দুটি টেস্টই জিততে হবে তাদের। এমন প্রেক্ষাপটের ম্যাচে একাদশে খেলোয়াড়ের একটি পরিবর্তন হলেও ইংল্যান্ড দলে আরেকটি পরিবর্তন আছে। ব্যাটিং অর্ডার অনুযায়ী ঘোষিত দলে তিনে রাখা হয়েছে মঈন আলীকে।

ওলি পোপ চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ার পর হেডিংলিতে প্রথম ইনিংসে তিনে খেলেছিলেন হ্যারি ব্রুক। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে সে পজিশনে আসেন মঈন। পরে অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেন, আগের রাতে মঈন নিজেই কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কাছে গিয়ে তিনে ব্যাটিং করার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। মঈনের যে প্রস্তাব ‘পছন্দ হয়’ স্টোকস ও ম্যাককালামের। সাত নম্বরের চেয়ে তিনে তিনি বেশি প্রভাব রাখতে পারেন বলেও বিশ্বাস করেন স্টোকস।

মঈন তিনে চলে যাওয়াতে ব্রুক তাঁর নিয়মিত পজিশন পাঁচে খেলতে পারেন। সেখানে ৭৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে অবদান রাখেন ৩ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়ে। মঈনের তিনে যাওয়া ছাড়া বাকিদের ব্যাটিং পজিশন আগের মতোই আছে। ছয়ে অধিনায়ক স্টোকস, আগের মতোই উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া জনি বেয়ারস্টো খেলবেন সাত নম্বরে

চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ড একাদশ

জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, মঈন আলী, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জনি বেয়ারস্টো (উইকেটকিপার), ক্রিস ওকস, মার্ক উড, স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসন।