জিম্বাবুয়ের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট পদ ছেড়েছেন সাবেক অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা
জিম্বাবুয়ের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট পদ ছেড়েছেন সাবেক অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা

ব্যর্থতার দায় নিয়ে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ছাড়লেন মাসাকাদজা

২০১৯ সালে অবসর নেওয়ার পরপরই জিম্বাবুয়ের ডিরেক্টর অব ক্রিকেটের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। তবে জাতীয় দল এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হওয়ার পর এ পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট এক বিবৃতিতে বলেছে, এ সপ্তাহে পদত্যাগ করেছেন মাসাকাদজা। ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হওয়াকে পদত্যাগের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

গত নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ব্যর্থ হয় জিম্বাবুয়ে। নামিবিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হেরে হোঁচট খায় দলটি, এরপর হারে উগান্ডার কাছেও। শেষ পর্যন্ত আফ্রিকান অঞ্চল থেকে আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় নামিবিয়া ও উগান্ডা। উগান্ডা বিশ্বকাপে খেলবে এবারই প্রথম। চার মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে না পারার যন্ত্রণায় পুড়তে হয় জিম্বাবুইয়ানদের, এর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইয়ে দারুণ খেললেও নেট রানরেটে কাটা পড়েছিল তারা।

ক্রিকেট উন্নতিতে বাংলাদেশকেই অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা

নিজের পদত্যাগপত্রে মাসাকাদজা লিখেছেন, ‘আমাদের ক্রিকেট ও আমার দায়িত্বের সাফল্য এবং ব্যর্থতা বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার দায়িত্বকালে অনেক উন্নতি আছে। তবে উগান্ডার কাছে অপ্রত্যাশিত হারের পর আমরাই একমাত্র পূর্ণ সদস্য, যারা পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে না, সে ব্যাপারটি থেকেই যায়। আমার ক্যারিয়ারে এটি সবচেয়ে বাজে মুহূর্ত, ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে আমি এর পূর্ণ দায় নিচ্ছি।’

শেষ দিকে ব্যর্থ হলেও মাসাকাদজার দায়িত্ব পালনের সময়ে সফলও হয়েছে জিম্বাবুয়ে। ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার ফোরে উঠেছিল দলটি। তাঁর অধীনে ন্যাশনাল প্রিমিয়ার লিগ, জিম আফ্রো টি-টেন লিগের পাশাপাশি মেয়েদের আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট, ৫০ ও ২০ ওভারের কাপ চালু হয়েছে।

এ সময়ে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব আয়োজন করেছে জিম্বাবুয়ে। ২০২৬ সালে তাদের মাটিতে হবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পরের আসর। ২০২৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ওয়ানডে বিশ্বকাপেরও যৌথ আয়োজক তারা। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, এরই মধ্যে দুটি টুর্নামেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন মাসাকাদজা।

মাসাকাদজা বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তটা বেশ কঠিন ছিল। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রতি আমি পুরোপুরি দায়বদ্ধ থাকব। ২০২৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের পথে আমি ভিন্ন কোনো উপায়ে কাজ করতেও আগ্রহী।’

আগামী মে মাসে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা জিম্বাবুয়ের। আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনা (এফটিপি) অনুযায়ী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা বাংলাদেশের। তবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাথায় রেখে টেস্ট দুটি বাদ পড়তে পারে বলে জানা গেছে