ওভালে কাল স্টিভেন স্মিথকে একের পর এক রান তুলতে দেখে বিরাট কোহলির ভালো লাগার কথা নয়।
স্মিথের একেকটি রান অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দিচ্ছে, আর চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে তুলছে ভারতের। তবে একটা জায়গায় পর্যবেক্ষণ সত্য হওয়ার আনন্দও হতে পারে কোহলির। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরুর আগে স্টার স্পোর্টসে বলেছিলেন, ‘স্মিথ এই প্রজন্মের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার। তাঁর মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা অসাধারণ।’
কোহলির মন্তব্যের মোক্ষম প্রদর্শনী দেখাতেই যেন কাল ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন স্মিথ। ভারতের পেস-তোপে ৭৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেড এসে ব্যাট চালালেন প্রতি-আক্রমণে। তবে স্মিথ খেললেন সতর্ক, ধীরস্থির আর কুশলী ইনিংস। যে ইনিংসে পেরিয়ে গেছেন পাকিস্তানের দুই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ইনজামাম উল হক আর জাভেদ মিয়াঁদাদকে। ৯৫ রানে অপরাজিত থেকে অপেক্ষায় আছেন টেস্ট ক্রিকেটে আরও কিছু মাইলফলক স্পর্শের দিকেও।
স্মিথ কাল মাঠে নামেন ৯৬ টেস্টে ৮ হাজার ৭৯২ রান নিয়ে। টেস্ট ইতিহাসে রানের দিক থেকে ২০তম স্থানে থেকে। দিনের দ্বিতীয় সেশনে ইনিংসের ৫৭তম ওভারে উমেশ যাদবকে ৪ মেরে ৩৬ থেকে ৪০ রানে পৌঁছান তিনি। এই বাউন্ডারিতে একসঙ্গে দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানকে টপকে যান স্মিথ।
১২০ টেস্ট খেলা ইনজামামের রান ৮ হাজার ৮৩০, আর ১২৪ টেস্ট খেলে মিয়াঁদাদের ৮ হাজার ৮৩২। ৩৪ বছর বয়সী স্মিথ তাঁদের ৯৭ টেস্টেই টপকে গেলেন। শুধু ইনজামাম বা মিয়াঁদাদই নয়, স্মিথের সামনে আজ গ্রাহাম গুচের ৮ হাজার ৯০০ রানও টপকে যাওয়ার সুযোগও আছে। গতকাল দিন শেষ করেছেন ৯৫ রানে অপরাজিত থেকে। মোট রানসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮৮৭। অর্থাৎ, আর ১৪ রান করলে পেরিয়ে যাবেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ককে।
কেনিংটন ওভালে স্মিথের যে ফর্ম, তাতে সেটি হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রথম ইনিংস মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৬ বার খেলতে নেমেছেন এখানে। একবার ৭ আর আরেকবার ২৩ রানে আউট হয়েছেন। বাকি চার ইনিংসের রান যথাক্রমে ১৩৮*, ১৪৩, ৮০ ও ৯৫*।