আইপিএলে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি বিরাট কোহলির। ভারতের সাবেক অধিনায়ক কদিন আগেই আইপিএল ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরিটা পেয়েছেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) ব্যাটসম্যান রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৬৭ বলে ছুঁয়েছিলেন তিন অঙ্ক। ৭২ বলে অপরাজিত ১১৩ রানের সেই ইনিংস খেলার পরও অবশ্য দলকে জেতাতে পারেননি কোহলি। বরং ১৮৩ রান করে বেঙ্গালুরুর ৬ উইকেটে হারের পর সমালোচনা হচ্ছে তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে।
সমালোচনার তিরে বিদ্ধ সেই কোহলি আজ কথা বলেছেন আরসিবির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়ের কথা বলেছেন কোহলি। সেই ভয়টা অবশ্য সমালোচকদের সমালোচনা নিয়ে নয়। কোহলি সেসবকে খুব একটা পাত্তা-টাত্তা দেন না। নাক বরাবর ধেয়ে আসা ফাস্ট বোলারদের বাউন্সারও নয়, কোহলি সবচেয়ে বেশি ভয় পান মধ্য আকাশে উড়োজাহাজের ঝাঁকুনিকে। ঝাঁকুনিতে পড়লেই নাকি তাঁর মনে হয়, এই শেষ, বাঁচার আর কোনো আশা নেই।
পেশাটা ক্রিকেট। ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে পেশার কারণেই নিয়মিত আকাশচারী হতে হয়। ভয়কে জয় করেই উঠতে হয় উড়োজাহাজে। উড়োজাহাজে নিজের ‘ভয়ংকর’ অভিজ্ঞতার কথা বললেন কোহলি এভাবে, ‘ঝাঁকুনিতে (এয়ার টারবুলেন্স) আমার ভীষণ ভয়। হ্যাঁ ঈশ্বর, তখন আমাকে কী নির্বোধের মতোই না দেখায়। যখনই ঝাঁকুনির মাত্রাটা একটু বেশি হয়, সবার আগে আমিই সিটের পাশের অংশ শক্ত করে ধরে ফেলি। আমার তখন মনে হয় এই শেষ।’
এমন ভয়কে সঙ্গী করেই এক দেশ থেকে আরেক দেশে, এক শহর থেকে আরেক শহরে যাতায়াত কোহলির। সেই আতঙ্ককে দূর করে ক্রিকেট মাঠে নামলেই অবশ্য অন্য চিত্র। এবার কোহলি নিজেই আতঙ্কের কারণ। বোলাররা যে কোথায় বল ফেলবেন, সেটিই বুঝতে পারেন না কোহলির ভয়ে।