আবদুল মজিদ (বাঁয়ে) ও মোহাম্মদ হোসেন
আবদুল মজিদ (বাঁয়ে) ও মোহাম্মদ হোসেন

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

মজিদের সেঞ্চুরি, অভিষেকে মোহাব্বতের ৭ ছক্কা

আগের ম্যাচে ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি হারানো আবদুল মজিদ আজ পেয়েছেন সেঞ্চুরি। জিতেছে তাঁর দল ব্রাদার্সও। আজ জিতেছে শাইনপুকুর ও গাজী টায়ার্সও।

শাইনপুকুরে বিধ্বস্ত সিটি

সুপার লিগে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে আরেকটু এগিয়ে গেল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ফতুল্লায় আজ দারুণ বোলিংয়ে সিটি ক্লাবকে ৮৪ রানে অলআউট করে ৯২ রানে জিতেছে শাইনপুকুর। সাত ম্যাচের চারটিতে জেতা শাইনপুকুরের পয়েন্ট ৮। গাজী গ্রুপেরও সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় শাইনপুকুর আছে পয়েন্ট তালিকার ৬ নম্বরে। ১১ ম্যাচের প্রথম পর্ব শেষে সুপার লিগে উঠবে শীর্ষ ৬টি দল। অবনমন শঙ্কা আরও বাড়িয়ে সিটির এটি সাত ম্যাচে সপ্তম পরাজয়।

সকালের বৃষ্টির কারণে ৪০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে শাইনপুকুরকে ১৭৬ রানে অলআউট করার পর নিশ্চিতভাবেই এবারের লিগে প্রথম জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সিটি। সাদিকুর রহমান ও হাসানুজ্জামানের উদ্বোধনী জুটি সেই স্বপ্ন আরও উজ্জ্বল করেন ৪.১ ওভারেই ৪৭ রান যোগ করে। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে অফ স্পিনার নাঈম আহমেদ হাসানুজ্জামানকে (৯ বলে ১৭ রান) ফেরাতেই ধসের শুরু সিটি ইনিংসে। এরপর আর ৩৭ রান যোগ করতেই অলআউট। সিটির হয়ে ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন ওপেনার সাদিকুর।

শাইনপুকুরের পেসার মুকিদুল ইসলাম ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন ৫ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া নাঈম। জাতীয় দলের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ৩ ওভারে ২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। এর আগে শাইনপুকুরের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন তিনে নামা খালিদ হাসান। বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের সদস্য তানজিদ হাসান করেছেন ৬ রান। প্রথম বলেই আউট হয়েছেন রিশাদ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শাইনপুকুর: ৩৮.৩ ওভারে ১৭৬ (খালিদ ৪৭, মেহেরব ৩৮; ইফরান ৪/২৬, মঈনুল ৩/৩৫, আশিকুল ২/২১)।
সিটি ক্লাব: ২০ ওভারে ৮৪ (সাদিকুর ৩০; মুকিদুল ৪/২২, নাঈম ৩/১৯, রিশাদ ২/২)।
ফল: শাইনপুকুর ৯২ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাঈম আহমেদ।

লিস্ট ‘এ’ অভিষেকে মোহাব্বতের ৭ ছক্কা, গাজী টায়ার্সের জয়

সকালের ঝড়-বৃষ্টিতে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি ও রূপগঞ্জ টাইগার্সের ম্যাচটি নেমে আসে ৪৩ ওভারে। ম্যাচটি ৭১ রানে জিতে সাত ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে গাজী টায়ার্স। অন্যদিকে টাইগার্স হারল সাত ম্যাচের সাতটিতেই।

লিস্ট ‘এ; ক্রিকেটে আজই অভিষেক হয়েছে মোহাব্বতের (ডানে)

গাজী টায়ার্স ৯ উইকেটে করে ২৩৭ রান। ওপেনার মোহাব্বত হোসেন করেছেন সর্বোচ্চ ৬৩ রান। ৪৭ বলের ইনিংসে ৭টি ছক্কা মেরেছেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষিক্ত মোহাব্বত। ম্যাচসেরা হয়েছেন মোহাব্বতই। ৯১ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাঁর সঙ্গী ইফতেখার হোসেন করেছেন ৪১ রান।

রান তাড়ায় ৩৮.২ ওভারে ১৬৬ রানে অলআউট টাইগার্স। ৬২ বলে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন অভিজ্ঞ শামসুর রহমান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

গাজী টায়ার্স: ৪৩ ওভারে ২৩৭/৯ (মোহাব্বত ৬৩, ইফতেখার ৪১, হাশিম ২/২৭, আসাদুল্লাহ ২/২৭, নাবিল ২/৪৯)।
রূপগঞ্জ টাইগার্স: ৩৮.২ ওভারে ১৬৬ (শামসুর ৫৮, আইচ ৪২; মারুফ ৩/২৬, শামীম ৩/৩৩, আরিদুল ২/৪৪)।
ফল: গাজী টায়ার্স ৭১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ: মোহাব্বত হোসেন।

মজিদের সেঞ্চুরিতে ব্রাদার্সের জয়

আগের ম্যাচে শাইনপুকুরের বিপক্ষে ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি ব্রাদার্স ওপেনার আবদুল মজিদ। সেই মজিদ পরের ম্যাচেই পেয়ে গেলেন সেঞ্চুরি। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ৪৩ ওভারের ম্যাচে মজিদের সেঞ্চুরিতে পারটেক্সের ২২৪ রান ৮ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। সাত ম্যাচে এটি ব্রাদার্সের তৃতীয় জয়, সমান ম্যাচে পারটেক্সের ষষ্ঠ পরাজয়।

লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে অষ্টম সেঞ্চুরি পেয়েছেন আবদুল মজিদ

ব্রাদার্স ওপেনার মজিদ লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন ১০৫ রানে। ১০২ বলে ইনিংসে ১১টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।

রান তাড়ায় ১৩৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ব্রাদার্স। এরপর অধিনায়ক মনির হোসেনকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৮ রান যোগ করেন মজিদ। ৩৮ বলে ৩৬ রান করেছেন মনির।

এর আগে পারটেক্সের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন অধিনায়ক মিজানুর রহমান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পারটেক্স: ৪৩ ওভারে ২২৪/৬ (মিজানুর ৫২, জাহিদুজ্জামান ৪৩, মুক্তার ৩৯*, তোফায়েল ৩৮*; রাহাতুল ৪/৩২)।
ব্রাদার্স: ৪১.৪ ওভারে ২২৫/৬ (মজিদ ১০৫*, মনির ৩৬; মুক্তার ৩/৫৩)।
ফল: ব্রাদার্স ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আবদুল মজিদ।