সাউদির নতুন রেকর্ড গড়ার দিনে নিউজিল্যান্ড ইংল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি
সাউদির নতুন রেকর্ড গড়ার দিনে নিউজিল্যান্ড ইংল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি

সাকিবকে ছাড়িয়ে আবারও শীর্ষে সাউদি

এবার হয়তো রেকর্ডটা নিজের কাছে অনেক দিন রাখতে পারবেন টিম সাউদি। গতকালই সাকিব আল হাসানকে টপকে আবারও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছেন এই পেসার। সমান ১৪০ উইকেট নিয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু করেছিলেন সাউদি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১ উইকেট নিয়ে এখন তিনিই শীর্ষে। এই সিরিজে এখনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বাকি আছে ৩টি।

স্বাভাবিকভাবেই সাকিবের সঙ্গে দূরত্বটা বাড়ার কথা সাউদির। এশিয়া কাপ নিয়ে ব্যস্ত থাকা সাকিব পরের টি-টোয়েন্টি খেলবেন আগামী ডিসেম্বরে, এই সাউদির দলের বিপক্ষেই। গত মার্চে সাউদিকে টপকে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।

সাউদির নতুন রেকর্ড গড়ার দিনে নিউজিল্যান্ড ইংল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি। চেস্টার-লি-স্ট্রিটে বুধবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৪০ রানের লক্ষ্য ৩৬ বল আর ৭ উইকেট থাকতেই ছুঁয়ে চার ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকেরা। ইংল্যান্ডের হয়ে ফিফটি পেয়েছেন ডেভিড ম্যালান।

৪২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন ম্যালান। আর অপরাজিত ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছেন হ্যারি ব্রুক। তবে সবাইকে ছাপিয়ে এই ম্যাচে নজর কেড়েছেন অভিষিক্ত পেসার ব্রাইডন কার্স। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেওয়া এই পেসারই জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ৩৭ রানে তিন উইকেট নেন লুক উড।

অপরাজিত ৪৩ রান করেছেন ব্রুক

ব্রুকের নিখুঁত ২৭ বলে ৪৩ রান কি জস বাটলারের জন্য কাজটা আরও কঠিন করল? ব্রুককে বিশ্বকাপের মাসে ইংল্যান্ডে রেখে যাওয়া আসলেই সম্ভব? সেই সিদ্ধান্তটা নিতে হবে বাটলারকেই। তবে নিজের কাজটা ঠিকই করে যাচ্ছেন ব্রুক। ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়ার পর ‘দ্য হানড্রেডে’ ৭ ম্যাচে ৪৭ গড়ে ২৪৭ রান করেছিলেন ব্রুক। যেখানে তাঁর স্ট্রাইকরেট ছিল অবিশ্বাস্য—১৯৬.৬৯। আর এবার তো করলেন অপরাজিত ৪৩। অর্থাৎ, ওয়ানডে দলে ফেরার প্রথম পরীক্ষায় ভালোভাবেই পাস করেছেন এই ডানহাতি। কারণ, এই ওয়ানডে দলের দরজা খুলতে এই ৪ টি-টোয়েন্টিই তাঁর হাতে আছে।

ব্রুকের ৪৩ আর ম্যালানের ৫৪ রানে ইংল্যান্ড গতকাল জিতেছে হেসেখেলেই। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড তোলে ৯ উইকেটে ১৩৯ রান। কিউইদের কোনো জুটিই ৩০ রান ছুঁতে পারেনি। মিডল অর্ডারে লড়াই করা গ্লেন ফিলিপসের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩৮ বলে ৪১ রান।

রান তাড়ায় প্রথম ওভারে জনি বেয়ারস্টো ফিরলেও ম্যালান আর উইল জ্যাকস মিলে প্রাথমিক ধাক্কা সামলান। ১২ বলে ২২ রান করে জ্যাকস ফিরলে ম্যালানের সঙ্গে যোগ দেন ব্রুক। দুজনে গড়েন ৩৪ বলে ৫৭ রানের জুটি। ম্যালান ফিরলে ৪ বলে ১০ রান তুলে খেলাটা দ্রুত শেষ করেন লিয়াম লিভিংস্টোন।