২০ বলে ৪৭ রান করে ম্যাচসেরা ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক
২০ বলে ৪৭ রান করে ম্যাচসেরা ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক

নামিবিয়াকে হারিয়ে নিজেদের কাজ করে রাখল ইংল্যান্ড, চোখ এখন অস্ট্রেলিয়া–স্কটল্যান্ড ম্যাচে

বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরুর কথা ছিল ইংল্যান্ড–নামিবিয়া ম্যাচ। সেই ম্যাচ শুরু হলো রাত দুইটায়। ২০ ওভারের ম্যাচ ততক্ষণে হয়ে গেছে ১১ ওভারের। অ্যান্টিগায় যে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত হতে পারল তাতেই খুশি ছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচ না হলে যে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায়ঘণ্টা বেজে যেত বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। পরে আরেকবার বৃষ্টি এসে ম্যাচটাকে ১০ ওভারের বানিয়ে দেয়। আর ১০ ওভারেই সেই ম্যাচেই নামিবিয়াকে ডিএলএস নিয়মে ৪১ রানে হারিয়ে সুপার এইটে ওঠার জন্য নিজেদের কাজটা করে রেখেছে জস বাটলারের দল।

কাজটা পুরো সম্পন্ন হতে ইংল্যান্ডকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার দিকে। রোববার সকালে অস্ট্রেলিয়া স্কটল্যান্ডকে হারালেই যে সুপার এইটের শিকে ছিড়বে ইংল্যান্ডের। আর সেই ম্যাচে স্কটল্যান্ড অঘটন ঘটিয়ে জিতে গেলে তো কথাই নেই, বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও স্কটিশরা উঠে যাবে সুপার এইটে। আর স্কটিশদের সুপার এইটে যাওয়া মানেই ইংল্যান্ডের বিদায়।

‘বি’ গ্রুপের বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয় নামিবিয়া। সংক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়া ম্যাচে রান হিসেব করে রান তাড়া করতে এই সিদ্ধান্ত। টসে জেতা নামিবিয়া ম্যাচের শুরুটা কী দুর্দান্তভাবেই না করে!

উইকেটে ফিল সল্ট ও জস বাটলারের মতো দুই ব্যাটসম্যান। নামিবিয়ান পেসার ডেভিড ভিসা সেই ওভারে দিলেন মাত্র ১ রান। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে তো রুবেন ট্রাম্পেলমান বোল্ডই করে দিলেন কোনো রান করতে না পারা ইংলিশ অধিনায়ক বাটলারকে।

টসে জিতে ফিল্ডিং নেন নামিবিয়া অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস

ওই ওভারেই টানা দুটি চার মেরে পাল্টা আক্রমণ করা সল্ট ভিসার করা তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে উইকেটকিপার ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। ২.১ ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা ইংল্যান্ডকে উদ্ধার করে জনি বেয়ারস্টো ও হ্যারি ব্রুকের ৫৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। ৩০ বলেই এই রান যোগ করেন দুজন।

৩ চার ও ২ ছক্কায় বেয়ারস্টো ১৮ বলে ৩১ রান করে বিদায় নিলেও ব্রুক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২০ বলে ৪৭ রান করে। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ৪টি চার ও ২ ছক্কায়। মঈন আলী ৬ বলে ১৬ ও লিয়াম লিভিংস্টোন ৪ বলে ১৩ রান করে ইংল্যান্ডের রানের গতি বাড়িয়েছেন।

ইংল্যান্ড ৮ ওভারে ৩ উইকেটে ৮২ রান তোলার পর বৃষ্টি এসে খেলা থামায়। কিছুক্ষণ পরে খেলা শুরু হলেও ততক্ষণে হাওয়া আরেকটি ওভার। শেষ দুই ওভারে ইংল্যান্ড তোলে ৪০ রান। তাতে চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস থামে ৫ উইকেটে ১২২ রানে।

ডিএলএস নিয়মে নামিবিয়ানরা অবশ্য লক্ষ্য পায় ১২৬ রানের। সেই লক্ষ্য ছোঁয়ার মতো ব্যাটিং নামিবিয়ানদের করতে দেননি ইংলিশ বোলাররা। ১৬ বলে ১৮ রান করা নামিবিয়ান ওপেনার নিকো ডাভিন মাঠে ছেড়ে উঠে গিয়ে রিটায়ার্ড আউট হওয়ার পরেই রানের গতি বাড়াতে থাকে নামিবিয়ানরা।

তিন ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় ম্যাচ

ততক্ষণে অবশ্য দেরি হয়ে গেছে। ডেভিড ভিসা ও মাইকেল ফন লিনগেনরা শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছেন। নবম ওভারে শেষ বলে আউট হওয়া ওপেনার লিনগেন ২৯ বলে ৩৩ রান করেন ৩ ছক্কায়। শেষ ওভারে আউট হওয়া ভিসা করেন ১২ বলে ২৭ রান।

শেষ ওভারে নামিবিয়ার দরকার ছিল ৪৬ রান। দলটি সেই ওভারে ৪ রান তুলে থামে ৮৪ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ইংল্যান্ড: ১০ ওভারে ১২২/৫ (ব্রুক ৪৭*, বেয়ারস্টো ৩১, আলী ১৬, লিভিংস্টোন ১৩, সল্ট ১১; ট্রাম্পেলমান ২/৩১, ভিসা ১/৬, শোলৎজ ১/২৪)।

নামিবিয়া: ১০ ওভারে ৮৪/৩ (লক্ষ্য ১২৬) (ফল লিনগেন ৩৩, ভিসা ২৭, ডাভিন ১৮; আর্চার ১/১৫, রশিদ ১/১৯)।

ফল: ইংল্যান্ড ৪১ রানে জয়ী (ডিএলএস)

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হ্যারি ব্রুক