ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার
ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার

১২০ বল, ১৯১ রান, ১৫৯.১৬ স্ট্রাইক রেট—রোহিত ও বাটলারের অবিশ্বাস্য মিল

চমক দেখিয়ে আফগানিস্তান প্রথমবারের মতো টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল বটে। কিন্তু শক্তি–সামর্থ্যের বিচারে তো দক্ষিণ আফ্রিকাই ছিল এগিয়ে। ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে সেই অসম লড়াইয়ের চিত্রই ফুটে উঠেছে। আফগানদের ৯ উইকেটে হারিয়ে প্রোটিয়ারা পৌঁছে গেছে ফাইনালে।

তবে রাত সাড়ে ৮টায় গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হতে চলা আরেক সেমিফাইনালে দুই দলের কাউকে নিরঙ্কুশ ফেবারিট বলার সুযোগ নেই। ভারত অনেক দিন হলো আইসিসি টি–টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর দল, ইংল্যান্ড টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। এই সেমিফাইনালে তাই সেয়ানে সেয়ানে টক্করই দেখার অপেক্ষায় আছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

এ বছর টি–টোয়েন্টি এমনকি এই বিশ্বকাপে দুই দলের অধিনায়ক যা করেছেন, তাতেও তাঁদের আলাদা করার উপায় নেই! কাকতালীয় মনে হলেও সত্যি, ভারতের রোহিত শর্মা আর ইংল্যান্ডের জস বাটলার ব্যাটিংয়ের নানা মানদণ্ডে এক পাল্লায় অবস্থান করছেন।

২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ মুখোমুখি রোহিতের ভারত ও বাটলারের ইংল্যান্ড

২০২৪ সালে রোহিত–বাটলার দুজনই খেলেছেন সমান ম্যাচ ও সমান বল। আউট হননি দুটি করে ইনিংসে, ফিফটিও আছে দুটি করে। ব্যাট হাতে তাঁদের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সও ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’! দুজনের রানই ১৯১, বল খেলেছেন ১২০টি করে। অবিশ্বাস্যভাবে স্ট্রাইক রেটও একই; ১৫৯.১৬। আসরে দুজন নিজেদের সর্বোচ্চ ইনিংসটাও খেলেছেন সর্বশেষ ম্যাচে। ব্যাট হাতে ‘মহাপ্রলয়’ বইয়ে দিয়ে সেরেছেন সেমিফাইনালের প্রস্তুতি।

আরেকটু হলে এ বছর টি–টোয়েন্টিতে রান–স্ট্রাইক রেটেও সমান হতেন রোহিত–বাটলার। ভারতীয় অধিনায়ক করেছেন ৩১২ রান, ইংলিশ অধিনায়ক ৩১৪। প্রথমজনের স্ট্রাইক রেট ১৬২.৫০, দ্বিতীয়জনের ১৬৩.৫৪।

চাইলে রোহিত–বাটলারের আরও কিছু মিল সহজেই খুঁজে নিতে পারেন। পদ–পদবির দিক থেকে দুজনই দলের অধিনায়ক, দুজনই ডানহাতি ব্যাটসম্যান, ব্যাটিংও করেন ওপেনিংয়ে।

সব মিলিয়ে অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, তাতে ব্যাট হাতে আজও রোহিত–বাটলার সবকিছুতে সমানে সমান থেকে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে একটা জায়গায় নিশ্চয় একজন–আরেকজনকে ছাড়িয়ে যাবেন। যাঁর দল জিতবে, তিনি উঠে যাবেন ফাইনালে। অন্যজনকে পুড়তে হবে বিদায়ের হতাশায়।

শেষ পর্যন্ত রোহিত–বাটলারের লড়াইয়ে কে জেতেন, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।