ক্রিকেট মাঠে এক মহানাটকীয়তারই জন্ম দিলেন এক মা। ছেলেকে দলে না নেওয়ার প্রতিবাদে পিচের মাঝখানে বসে পড়লেন। তাঁর দাবি, কোচ তাঁর ছেলের ক্যারিয়ার নষ্ট করে দিচ্ছেন। পরে পুলিশ এসে বুঝিয়ে-সুজিয়ে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ওডিশা রাজ্যের কটকের সানশাইন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। ওডিশা টিভি জানিয়েছে, আয়ুশ মোহন্তি নামের এক ক্রিকেটারকে রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরের ‘এ’ দলে নেওয়া হয়নি। এর প্রতিবাদে আয়ুশের মা সানশাইন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের পিচের মাঝখানে ধরনা (একটি স্থানে বসে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ) শুরু করেন। মাঠে আয়ুশের বাবা দিবাকর মোহন্তিও ছিলেন। তাঁরা পুলিশের মারধরের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন।
আয়ুশ মোহন্তিকে ভুবনেশ্বর ‘এ’ দলে না নেওয়ায় কোচ বিশ্ব বিজয়ী চন্দ্রচূড়া মহাপাত্রকে দায়ী করেছেন তাঁর মা। প্রতিবাদী এই নারীর দাবি, কোচের পক্ষপাতিত্বের কারণে তাঁর ছেলেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, ‘কোচ টাকা খেয়ে আমার ছেলের ক্যারিয়ার নষ্ট করেছে। এ জন্য আমার ছেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। ওকে চার ম্যাচের একটিতেও খেলতে দেওয়া হয়নি। আমি এখানে বিচার চাইতে এসেছি। কিন্তু তারা আমাকে মারধর করেছে। আমার ছেলের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।’
ক্রিকেটার আয়ুশের বাবা দিবাকর মোহন্তি বলেছেন, ‘আমার ছেলের পারফরম্যান্স ভালো ছিল না। তাই আমাদের বলা হয়েছিল, শেষ দুই ম্যাচে তাকে (আয়ুশকে) সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু তাকে খেলানো হয়নি। অথচ অন্য যারা পারফর্ম করতে পারেনি, তাদের ঠিকই খেলানো হয়েছে। আজ আমরা বিচার চাইতে এসে মারধরের শিকার হয়েছি।’
ওডিশা টিভি এ ব্যাপারে জানতে কোচ মহাপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু মহাপাত্র কোনো মন্তব্য করেননি। তবে ভুবনেশ্বর ক্রীড়া সংস্থার সচিব সৌম্য রঞ্জন পারিজা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যারা ভালো করেছে, শুধু তাদেরই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ওই খেলোয়াড়কে (আয়ুশ মোহন্তিকে) তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়া হলেও পারফর্ম করতে পারেনি। কোচ ও ম্যানেজার লিখিতভাবে কিছু দিলে আমরা তদন্ত করব। একটি ক্যাম্প ডাকা হয়েছিল এবং ইতিমধ্যেই দল নির্বাচন করা হয়ে গেছে।’