উইকেট পাওয়ার পর শরীফুলের উচ্ছ্বাস
উইকেট পাওয়ার পর শরীফুলের উচ্ছ্বাস

আক্ষেপের পর বাংলাদেশ ও শরীফুলের স্মরণীয় সিরিজ

সিরিজ জয়ের দারুণ সুযোগ থাকলেও ব্যাটিং-ব্যর্থতায় সেটি হারিয়েছে বাংলাদেশ, তবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের এ সিরিজ স্মরণীয়, যা স্মরণীয় শরীফুল ইসলামের জন্যও।
১১০
মাউন্ট মঙ্গানুইতে ২০ ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশের স্কোরই এখন সর্বনিম্ন। আগের রেকর্ডটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের-২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে তারা গুটিয়ে গিয়েছিল ১২৪ রানে।
এর আগে কখনোই মাউন্ট মঙ্গানুইতে জেতেনি পরে ব্যাটিং করা দল, নিউজিল্যান্ড এ ক্ষেত্রে প্রথম।

দেশের মাটিতে টানা ৫টি সিরিজ (কমপক্ষে ৩ ম্যাচ) জয়ের পর এই প্রথম জিততে ব্যর্থ হলো নিউজিল্যান্ড। দেশের মাটিতে এই প্রথম কমপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজ ড্র করল তারা।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উইকেট পাওয়ার আনন্দ

দেশের বাইরে এই প্রথম ৩ ম্যাচের কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ, জয় আছে তিনটি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে স্বাভাবিকভাবে এটিই বাংলাদেশের সেরা সাফল্য, এর আগে তো জয়ই ছিল না কোনো। সেখানে এটি ছিল বাংলাদেশের চতুর্থ দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

তৃতীয়বারের মতো ৩ বা এর বেশি ম্যাচের সিরিজের প্রথমটি জিতেও সিরিজ জিততে ব্যর্থ বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ে (৪ ম্যাচ) ও ২০১৯ সালে ভারতের মাটিতে (৩ ম্যাচ) সিরিজে লিড নিয়েও জিততে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ।

১০
বৃষ্টিতে সবশেষ ২ ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসে হয়নি ১৪.২ ওভার। তবে ৩ ম্যাচ মিলিয়ে বাংলাদেশ পেসাররা নিয়েছেন ১০টি উইকেট, দেশের বাইরে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ পেসাররা নিয়েছিলেন ১৫টি উইকেট। সব মিলিয়ে এবার প্রতিপক্ষের ১৫টি উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশ বোলাররা, দেশের বাইরে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ।


তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দেশের বাইরের কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন শরীফুল ইসলাম। বাঁহাতি এ পেসার ক্যারিয়ারেই প্রথমবার জিতলেন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে ও ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজসেরা হয়েছিলেন সাকিব, ২০২১ সালে জিম্বাবুয়েতে সৌম্য সরকার

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সিরিজসেরা হওয়া চতুর্থ শরীফুল। এর আগে এই কীর্তি ছিল মোহাম্মদ আমির (পাকিস্তান), লোকেশ রাহুল (ভারত) ও সূর্যকুমার যাদবের (ভারত)।

অধিনায়কত্বের অভিষেকেই একাধিক ম্যাচের সিরিজ—এ ক্ষেত্রে নাজমুল হোসেনই বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। অধিনায়কত্বের অভিষেকেই জিতেছিলেন শাহরিয়ার নাফীস ও মুশফিকুর রহিম, তবে দুজনের ক্ষেত্রেই সিরিজে একটি করে ম্যাচই ছিল।