বজ্রবৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় শ্রীলঙ্কা–নেপাল ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। আজ ফ্লোরিডার লডারহিলে
বজ্রবৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় শ্রীলঙ্কা–নেপাল ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। আজ ফ্লোরিডার লডারহিলে

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

বজ্রবৃষ্টিতে ভেসে গেল শ্রীলঙ্কার স্বপ্ন, সবার আগে সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার পর বাংলাদেশের কাছেও হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের শঙ্কায় পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। সুপার এইট পর্বে ওঠার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে নেপাল ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে তো হতোই, সঙ্গে অন্য ম্যাচগুলোর ফলও তাদের পক্ষে আসতে হতো।

কিন্তু তা আর হলো কোথায়? প্রথমবার বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ আয়োজন করতে গিয়ে বজ্রবৃষ্টি উপহার দিল ফ্লোরিডার লডারহিল। নেপালের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় শ্রীলঙ্কার সুপার এইটে ওঠার সম্ভাবনা বলতে গেলে শেষই হয়ে গেল। আর এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে সুপার এইট পর্বে উঠে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।

শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডসের পর পরশু বাংলাদেশকেও হারিয়ে সুপার এইটে খেলা প্রায় নিশ্চিত করেই রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল পরের রাউন্ডে উঠবে, তা কারও অজানা থাকার কথা নয়। আজ শ্রীলঙ্কা-নেপাল ম্যাচ পণ্ড হওয়ায় প্রোটিয়াদের অর্জিত ৬ পয়েন্ট ছোঁয়ার সুযোগ আছে শুধু বাংলাদেশ অথবা নেদারল্যান্ডসের।

সবার আগে সুপার এইট পর্বে উঠে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা

এবারের বিশ্বকাপে এ নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলো। বার্বাডোজে ৪ জুন ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ড ম্যাচটি বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে যায়। সেই ম্যাচে স্কটল্যান্ড অবশ্য ১০ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল। তবে লডারহিলের গতকাল শুরু হওয়া বজ্রবৃষ্টি থামার নামগন্ধ নেই। তাই শ্রীলঙ্কা-নেপাল ম্যাচে মাঠে বল গড়ানো দূরে থাক, টসও হয়নি।

‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এই গ্রুপ নিয়ে দেশবাসীর আগ্রহ বেশি। আজ শ্রীলঙ্কার ম্যাচ পণ্ড হওয়ায় লাভই হলো বাংলাদেশের। গ্রুপ পর্বে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেই লঙ্কানদের চেয়ে বেশি পয়েন্ট নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। সেন্ট ভিনসেন্টে আগামীকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিততে পারলে শেষ আটের পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে নাজমুল হোসেনের দল। আর শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে নেপাল হেরে গেলে তো কোনো কথাই নেই। বাংলাদেশের সমীকরণটা আরও সহজ হয়ে যাবে।

তবে শ্রীলঙ্কার বিদায় এখনো নিশ্চিত হয়নি। হাসারাঙ্গা-ম্যাথুসদের ভাগ্য নিজেদের হাতে তো নেই-ই, নেই অন্য দলগুলোর হাতেও। তাহলে ভাগ্য কার হাতে? প্রকৃতির!

আজকের ম্যাচের মতো আগামীকাল বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচটিও বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হতে হবে। এরপর নেপালের কাছে বাংলাদেশকে হারতে হবে, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে আবার নেপালকে হারতে হবে এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কাকে নিজেদের শেষ ম্যাচটা বিশাল ব্যবধানে জিততে হবে।

শ্রীলঙ্কা–নেপাল ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় লাভ হলো বাংলাদেশের

সবকিছু এভাবে এগোলে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-নেপাল-নেদারল্যান্ডস চার দলেরই পয়েন্ট হবে সমান ৩ করে। সে ক্ষেত্রে নেট রান রেটে বাংলাদেশ, নেপাল ও নেদারল্যান্ডসকে ছাড়িয়ে যেতে পারলে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গী হবে শ্রীলঙ্কা।

সুযোগ আছে নেপালেরও। হিমালয়ের দেশটির সমীকরণে এতটা জটিলতা নেই। তবে কাজটা খুব কঠিন। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে হবে তাদের।

প্রকৃতির শক্তি বোধ হয় এমনই। নইলে কি আর এক বৃষ্টি এত গাণিতিক জটিলতা সৃষ্টি করে!